হজ্ব আদায়ের মৌসুমে হুজ্জাজে
কেরাম হজ্জ আদায়ের রোকন হিসেবে এবং বিশ্বের সর্বত্র বসবাসকারী অন্যান্য মুসলমানগণ ঈদুল
আজহার সময় পশু জবেহ করে।হযরত ইব্রাহিম (আঃ)এর সুন্নতের অনুস্মরণে তাই মান্য করে থাকে
। এই সকল আমল মুলতঃ ঐ দৃশ্যের স্মরণকে উজ্জীবিত করে দেয়। যখন স্রষ্টার বাসনা বাস্তবায়নে
হরযতইব্রাহিম (আঃ)স্বীয় কলিজার টুকরা হরযত ইসমাইল (আঃ)কে কুরবানি করার জন্য এই ময়দানে
আনয়ন করে ছিলেন।এই আজীমে (মহান)কুরবানি (ত্যাগ)দরবারে এলাহীর মহানসমীপে এতই মনোমুগকর
হয়েছিল যে,আজ অবদি প্রতি বছর হুজ্জাজে কিরাম এই কুরবানির স্মরনে পশু সমূহ কুরবানি করে
থাকে।কুরবানি আদায় করার এই নির্দেশ আল্লাহ্র এতই পছন্দনীয় ও মনোনিত হয়ে ছিল যে,আল্লাহর
তায়ালা এই বিধান হজ্জ আদাইকারীর রোকন পর্যন্ত সীমাব্দ না রেখে বরং গোটা মুসল্মানের
সামথ অনুযায়ী আবশ্যকীয় বিধান করে দিলেন ।অথাৎ হে মুসলিম স্মপ্রদায়,তোমরা সামর্থবান
লোকেরা! তোমরাও প্রতি বছর এমনিভাবে আল্লাহ্র বাস্তায় কুরবানি কর।
হরযত ইমাম হাসান বছরী (রহঃ)(হি;
২১-১১০)এর উপর নিম্নে বর্ণিত ব্যাখ্যা পেশ করেছেনঃ হরযত ইসমাইল (আঃ)এর কুরবানির মধ্যে
বহু মোটাতাজা দুম্বা ওয়াদীয়ে ছবির (মক্কা পাহাড়ের নাম)থেকে অবতীর্ণ করা হয়েছিল। (মহা
পবিত্র কোরআনে)আল্লাহ্ পাক এরশাদ করেন-(আমি এক মহান কুরবানি তার বিনিময়ে দিয়ে তাকে
মুক্ত করে নিয়েছ। বর্ণিত এ আয়াতে কারীমায় জবেহকে হরযত ইসমাইল (আঃ)এর কুরবানির সাথে
নিধারন করে দিয়েছেন। (অর্থাৎ খাছ করে দিয়েছেন।)কিন্ত হরযত ইব্রাহিম (আঃ) এর এই নিয়মের
উপর জবেহ করা কেয়ামত পর্যন্ত সুন্নত স্থায়ীত্ব করে দিয়েছেন । হরযত ইমাম হাসান
বছরী (রহঃ)মুসমানদেরকে খেতাব করে বলেছেন তোমাদের জেনে রাখা উচিত যে, জবেহ মুর্দারের
থেকে বুরাই (খারবিয়ান) দূর করে দেয়। সুতরাং হে আল্লাহ্র বান্দা! তোমরা কুরবানি করতে
থাক।
নিঃস্নদেহে এই আমল হরযত ইব্রাহিম
(আঃ) এবং ইসমাইল (আঃ)এর আজীমতরীন (মহান ত্যাগের কুরবানি) কুরবানির ঘটনার স্মরণে মান্য
করা হয়। (celebration)যাতে উম্মতে মোহআম্মদী (সাঃ)আল্লাহর দ্বীনের প্রতি নিবিষ্ট থাকে
এবং আল্লাহর রাস্তায় জান ও মাল উৎসর্গ করতে কায়মনোবাক্যে সর্বদা নিমগ্ন থাকে।
No comments:
Post a Comment