পরহেজগারীর সংজ্ঞা ও গুরুত্ব সম্পর্কে তরিকতের ইমাম হযরত মুজাদ্দেদ আলফেছানী(রাঃ) ছাহেব যা বলেনঃ
আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন স্থানে মুত্তাকী বা পরহেজগার ব্যক্তিগণের সম্পর্কে খোশ খবর দিয়াছেন। তিনি কখনও বলিয়াছেন যে, তাহারা মুক্তিপ্রাপ্ত।কখনও বলিয়াছেন, সাফল্যের অধিকারী তাহারাই। বাস্তবিকই, দুনিয়া এবং আখেরাতের সমুদয় ইজ্জত ও কল্যাণের অধিকারী মুত্তাকী বা পরহেজগার ব্যক্তিগণই। সুতরাং তাকওয়া বা পরহেজগারীর সঠিক সংজ্ঞা জানা আমাদের কর্তব্য।
হযরত মুজাদ্দেদ আলফে-ছানী (রাহঃ) বলেনঃ
....... অতএব পরকালে মুক্তিলাভ হওয়া দুইটি কাজের উপর নির্ভর করে।
প্রথমতঃ আল্লাহ্তায়ালা যে আদেশ করিয়াছেন তাহা পালন করা।
দ্বিতীয়তঃ তিনি যাহা নিষেধ করিয়াছেন, উহা হইতে বিরত থাকা।
উক্ত দুইটির মধ্যে দ্বিতীয়টিই প্রধান। আর এই দ্বিতীয়টির নামই তাক্ওয়া বা পরহেজগারী।
একদা হযরত নবী করীম (ছঃ) এর পাক দরবারের কোন এক ব্যক্তিকে এবাদতে কঠোর সাধনাকারী এবং অপর একজনকে পরহেজগার বলিয়া উল্লেখ করা হইল। তাহা শুনিয়া হযরত নবী করীম (ছঃ) উপস্থিত লোকদের বলিলেন, তোমরা পরহেজগারীর সহিত অন্য কিছুরই তুলনা করিও না। জানিয়া রাখ, পরহেজগারী তোমাদের ধর্মের মূল এবং পরহেজগারীর কারণেই মানুষ ফেরেস্তা হইতে শ্রেষ্ঠতর মর্যাদার অধিকারী। (মকতুব নং ৭৬, প্রথম খন্ড)
No comments:
Post a Comment