Monday, 5 December 2016

গীবত ও পরনিন্দা ?/?


‘গীবত’ এর শাব্দিক অর্থ পরনিন্দা, অসাক্ষাতে অন্যের দোষত্রুটি বর্ণনা করা। ইসলামী পরিভাষায় গীবত বলা হয় কাহারও অসাক্ষাতে তাহার দোষত্রুটি (যাহা সাক্ষাতে বলিলে সে ব্যথিত হইত) বর্ণনা করা (কথা, লেখনী, বা ইশারা-ইঙ্গিতের মাধ্যমে) যদিও সেই সকল দোষত্রুটি তাহার মধ্যে থাকে। আর যদি সে দোষ তাহার মধ্যে না থাকে তাহা হইলে উহাকে অপবাদ বলা হয়। উলামায়ে কিরাম বিভিন্নভাবে গীবতের যে সংজ্ঞা বর্ণনা করিয়াছেন তাহার মর্ম ইহাই। হাদীসেও এই কথাই বলা হইয়াছেঃ
আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলিলেনঃ গীবত কি তোমরা কি তাহা জান? তাঁহারা(সাহাবীগণ) বলিলেনঃ আল্লাহ্‌ ও তাঁহার রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বলিলেনঃ তোমার ভাই সম্পর্কে এমন আলোচনা করা যাহা সে অপসন্দ করে। বলা হইলঃ আপনি এই ব্যাপারে কি মনে করেন যে, আমি যাহা বলিতেছি তাহা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে? তিনি বলিলেনঃ তুমি যাহা বলিতেছ তাহা যদি তোমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে তাহা হইলেই তুমি তাহার গীবত করিলে। আর যদি উহা তাহার মধ্যে না থাকে তবে তুমি তাহাকে অপবাদ দিলে।
তথ্যসূত্রঃ
১। মুসলিম শরীফ, হাদীস নং ৬৩৫৭ ইফা,
২। আবূ দাউদ শরীফ, হাদীস নং ৪৭৯৮ ইফা
গীবতের সংজ্ঞায় ইমাম গাজ্জালী(রঃ) বলেন, গীবত বলা হয় অপরের এমন আলোচনা করা-যা সে শুনলে খারাপ মনে করে। এ আলোচনা অন্যের দৈহিক ত্রুটি, বংশগত ত্রুটি, চারিত্রিক ত্রুটি বা দোষ আলোচনা করা, ধর্ম, কর্ম, পোশাক-পরিচ্ছদ, ঘর-বাড়ী, গাড়ী-ঘোড়ার দোষ সম্পর্কিত হলেও গীবত।( তথ্যসূত্রঃ ইহইয়া উলুমুদ্দিন)
কুরআন পাক ও হাদীস শরীফে গীবতকে খুবই ঘৃণিত কাজ বলিয়া উল্লেখ করিয়া উহা হইতে বিরত থাকিবার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে। কুরআন কারীমে বলা হইয়াছে- “এবং একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা করিও না। তোমাদিগের মধ্যে কি কেহ তাহার মৃত ভ্রাতার গোশত ভক্ষণ করিতে চাহিবে? বস্তুত তোমরা তো ইহাকে ঘৃণ্যই মনে কর”। (সূরা ৪৯ হুজুরাতঃ১২)
হাদীছ শরীফে উল্লিখিত হইয়াছেঃ আনাস ইব্‌ন মালিক (রাঃ) হইতে বর্ণিত। রাসূলূল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ মিরাজ রজনীতে আমাকে যখন আকাশে লইয়া যাওয়া হয় তখন (সেখানে) আমি একদল লোকের নিকট দিয়া গমন করিলাম। তাহাদের নখগুলি ছিল আগুনের। উহা দিয়া তাহারা তাহাদের মুখমন্ডল এবং পেট ক্ষত বিক্ষত করিতেছিল। আমি বলিলামঃ ইহারা কাহারা হে জিবরাঈল? জিব্‌রাঈল বলিলেনঃ ইহারা সেই সকল লোক যাহারা মানুষের গোশত ভক্ষণ (গীবত) করিত এবং তাহাদের সম্মান বিনষ্ট করিত।(আবূ দাউদ শরীফ, হাদীস নং ৪৮০১ ইফা)
হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, একদিন নবী করীম (সাঃ) রোযার আদেশ দিয়ে বললেন, আমি যে পর্যন্ত অনুমতি না দেই কেউ ইফতার করবে না। সাহাবায়ে কিরাম রোজা রাখলেন। সন্ধ্যা হলে এক একজন এসে ইফতারের অনুমতি নিতে লাগল। এক ব্যক্তি আরজ করল, হে আল্লাহর নবী! দুজন মহিলাও রোযা রেখেছিল, আপনি অনুমতি দিলে তারাও ইফতার করত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মুখ ফিরিয়ে নিলেন। এভাবে সে পুনরায় একই কথা বললো এবং রাসূলও (সাঃ) মুখ ফিরিয়ে নিলেন। এভাবে সে তৃতীয় বার নিবেদন করার পর তিনি বললেন, তারা রোযা রাখেনি। যারা সারাদিন মানুষের গোশত ভক্ষণ করে, তাদের আবার কিসের রোযা? তুমি গিয়ে তাদেরকে বল, তোমরা রোযা রেখে থাকলে বমি কর, সে মহিলাদ্বয়কে এ নির্দেশ শুনিয়ে দিল। তারা বমি করলে প্রত্যেকের মুখ দিয়ে জমাট রক্ত নির্গত হল। লোকটি এসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নিকট ঘটনা বর্ণনা করলে তিনি বললেন, আল্লাহর কসম যার কব্জায় আমার প্রাণ, যদি এ জমাট মাংসপিন্ড তাদের পেটে থেকে যেত তবে তাদেরকে জাহান্নাম খেয়ে নিত। (তথ্যসূত্রঃ এহইয়া উলুমুদ্দীন)
আবূ বারযাঃ আল-আসলামী (রাঃ) হইতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ হে ঐ সকল লোক, যাহারা মুখে ঈমান আনিয়াছ অথচ অন্তরে ঈমান প্রবেশ করে নাই। তোমরা মুসলমানদের গীবত করিও না এবং তাহাদের দোষ অণ্বেষণ করিও না। কারণ যে তাহাদের দোষ অন্বেষণ করিবে আল্লাহ তাহাদের দোষ অন্বেষন করিবেন। আর আল্লাহ যাহার দোষ অন্বেষণ করিবেন তাহাকে অপদস্থ করিয়া ছাড়িবেন।(আবূ দাউদ শরীফ, হাদীস নং ৪৮০২ ইফা)।
হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একবার রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলিলামঃ সাফিয়্যার এই রকম এই রকম অর্থাত খাটো হওয়া আপনার জন্য যথেষ্ট। তখন তিনি বলিলেনঃ তুমি এমন একটি কথা বলিয়াছ যদি তাহা সমুদ্রে ফেলা (সহিত মিশানো) হইত তবে অবশ্যই সমুদ্র পরিপূর্ণ হইয়া যাইত। আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ আমি তাঁহাকে একজন লোকের কথা শুনাইলাম। তিনি বলিলেনঃ আমি ইহা পছন্দ করিনা যে, আমি কোনও লোকের কথা বর্ণনা করিব আর আমার জন্য এইরূপ এইরুপ হইবে। (আবূ দাউদ শরীফ, হাদীস নং ৪৭৯৯ ইফা)।
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ এক মুসলিমের উপর অন্য মুসলিমের সম্পদ, সম্মান এবং জান হারাম করা হইয়াছে। কোনও লোকের দুস্কর্ম করার জন্য ইহাই যথেষ্ট যে, সে তাহার মুসলিম ভাইকে হেয় প্রতিপন্ন করিবে (আবূ দাউদ শরীফ, হাদীস নং ৪৮০৪ ইফা)।
হযরত জাবির ও আবু সায়ীদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, “ গীবত করা থেকে তোমরা বেচেঁ থাক। কেননা, গীবত যেনার চেয়েও নিকৃষ্টতম।” অর্থাতঃ- যেনা করে মানুষ তওবা করলে আল্লাহ পাক তওবা কবুল করে নেন কিন্তু গীবতকারীকে মাফ করা হয় না যতক্ষণ যার গীবত করা হয় সে মাফ না করে।”
তথ্যসূত্রঃ
ক) মেরকাত শরহে মেশকাত, গীবত অধ্যায়
খ) জামেউস সাগীর, গীবত অধ্যায়
গ) কানযুল উম্মাল
বিশ্বওলী, খাজাবাবা হযরত ফরিদপুরী(কুঃ ছেঃ আঃ) ছাহেব মোহাছাবার অধ্যায়ে অধিক কথা বলার ক্ষতির আলোচনা করতে গিয়ে গীবত সম্পর্কে বলেন,
অধিক কথা বলায় বহুবিদ অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান। অধিক কথা বলার কুফল নিম্নরুপঃ-
(ক) যাহারা অধিক কথা বলে, ইচ্ছায় হউক, অনিচ্ছায় হউক, তাহার পরনিন্দা, পরচর্চা বা গীবত করিয়া থাকে।
(খ) মিথ্যা কথা বলে।
(গ) ওয়াদা ভংগ করে, কারণ ওয়াদা দেওয়ার সময় চিন্তাভাবনা না করিয়াই ওয়াদা দেয়। পরে আর রক্ষা করিতে পারে না।
(ঘ) অতিরিক্ত কথা বলার কারণে আসল কথাকে অতিরঞ্জিত করে।
(ঙ) বেহুদা কথায় লিপ্ত থাকে।
(চ) হাস্য-কৌতুকে সময় কাটায়। ফলে যিনি অধিক কথা বলেন, তাহার দেল মারা যায়। হযরত শেখ সাদী (রঃ) বলেন, “তোমার কথা আদন এর মুক্তার চেয়েও যদি মূল্যবান হয়, তথাপিও তুমি যদি বেশী কথা বল, তবে তোমার দেল মারা যাইবে। দেল অন্ধকার অচ্ছন্ন হইবে।”
অধিক কথা বলায় যে পাপ মানুষ সবচেয়ে বেশী করে তাহা হইল গীবত অর্থাত পরনিন্দা বা পরর্চচা এবং মিথ্যা কথা বলা। এইদুটোই ইসলামী দৃষ্টিকোনে জঘন্য অপরাধ বলিয়া পরিগণিত। গীবত কি? কোন ব্যক্তির অসাক্ষাতে তাহার দোষ-ত্রুটির আলোচনা করাকে গীবত বলে। রাসূলে পাক (সাঃ) বলেন, “গীবত যেনা হইতেও কঠিনতম গোনাহ।” ছাহাবাগণ আরজ করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (সাঃ)! গীবত যেনা হইতেও কঠিনতর? তিনি বলিলেন “কোন ব্যক্তি যেনা করিয়া তওবা করিলে আল্লাহতায়ালা তাহার তওবা কবুল করেন এবং তাহাকে মাফ করিয়া দেন, কিন্তু গীবতকারীর জন্য তওবার কোন বিধান নাই, যে পর্যন্ত না যাহার গীবত করা হইয়াছে, সে মাফ করে।”
(তথ্যসূত্রঃ নসিহত-সকল খন্ড একত্রে, পৃষ্টা নং ৮২, নসিহত নং-৬)
কাজেই বুঝা গেল গীবত এক জঘন্য পাপ। আত্মার এক ঘৃণ্য ব্যাধি। আল্লাহপাক আমাদের দয়া করুন যেন এই জঘন্য পাপ থেকে আমরা নিজেদের হেফাযত করতে পারি। আমিন।
----আকতার হোসেন কাবুল

Friday, 18 November 2016

কুরআন ও হাদইসের আলোকে আল্লাহ্‌র ওলীর পরিচয়???


ওলী’ শব্দটি আরবী বিলায়াত / ওয়ালায়াত শব্দ থেকে গৃহীত। শব্দটির অর্থ নৈকট্য, বন্ধুত্ব বা অভিভাবকত্ব। বিলায়াত অর্জনকারীকে ‘ওলী’ /‘ওয়ালী’ বলা হয়। অর্থাৎ নিকটবর্তী, বন্ধু, সাহায্যকারী বা অভিভাবক। ইসলামী পরিভাষায় ‘বিলায়াত’ ‘ওলী’ ও ‘মাওলা’ শব্দের বিভিন্ন প্রকারের ব্যবহার রয়েছে। উত্তরাধিকার আইনের পরিভাষায় ও রাজনৈতিক পরিভাষায় এ সকল শব্দ বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত। তবে বেলায়েত বা ওলী শব্দের সর্বাধিক ব্যবহৃত হয় ‘আল্লাহর বন্ধুত্ব’ ও ‘আল্লাহর বন্ধু’ অর্থে।
পাক কুরআনের আলোকে আল্লাহর ওলীঃ
পাক কুরআনে মহান আল্লাহ বলেনঃ
“জেনে রাখ! নিশ্চয় আল্লাহ্‌র ওলীগণের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্তও হবে না- যারা ঈমান এনেছে এবং যারা আল্লাহর অসন্তুষ্টি থেকে আত্মরক্ষা করে চলে বা তাকওয়া অবলম্বন করে।”(সূরা ইউনূসঃ ৬২-৬৩)
উল্লিখিত আয়াতপাকে দুটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষণীয়। যথাঃ
১। যারা ঈমান এনেছে।
২। যারা তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জন করে যাবতীয় পাপ থেকে নিজেকে বিরত রেখেছে।
এদু’টি গুণ যারা অর্জন করল তাদের কোন ভয় নেই, তারা দুঃখিতও হবে না। তারাই আল্লাহর ওলী বা বন্ধু।
হাদীসের আলোকে আল্লাহর ওলীঃ
রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেছেন যে, ফরয ইবাদতগুলো পালনের সাথে সাথে অনবরত নফল পালনের মাধ্যমে বান্দা বেলায়েত বা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করেন। তিনি বলেন, আল্লাহ বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি আমার কোনো ওলীর সাথে শত্রুতা করে আমি তার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করি। আমার নৈকট্য অর্জন বা ওলী হওয়ার জন্য বান্দা যত কাজ করে তন্মধ্যে আমি সবচেয়ে বেশি ভালবাসি যে কাজ আমি ফরয করেছি।(ফরয পালনই আমার নৈকট্য অর্জনের জন্য সবচেয়ে প্রিয় কাজ)। এবং বান্দা যখন সর্বদা নফল ইবাদত পালনের মাধ্যমে আমার বেলায়েতের পথে বা আমার সান্নিধ্যের পথে অগ্রসর হতে থাকে তখন আমি তাকে ভালবাসি। আর যখন আমি তাকে ভালবাসি তখন আমি তার শ্রবণযন্ত্রে পরিণত হই, যা দিয়ে সে শুনতে পায়, আমি তার দর্শনেন্দ্রিয় হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখতে পায়, আমি তার হাত হয়ে যাই যদ্দ্বারা সে ধরে এবং আমি তার পা হয়ে যাই, যদ্দ্বারা সে হাঁটে। সে যদি আমার কাছে কিছু প্রার্থনা করে তাহলে আমি অবশই তাকে তা প্রদান করি। সে যদি আমার কাছে আশ্রয় চায় তাহলে আমি অবশ্যই তাকে আশ্রয় প্রদান করি।”(সহীহ বোখারী শরীফ, হাদীস নং ৬০৫৮ ইফা)
বর্ণিত হাদীসে বেশ কয়েকটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষণীয়। যথাঃ
যারা আল্লাহর ওলী
১। তারা ফরয ইবাদত নিখুত ভাবে পালন করেন।
২। বেশী বেশী নফল বন্দেগী করেন।
৩। বন্দেগী করতে করতে তারা আল্লাহর ভালবাসা লাভ করেন।
৪। তখন তারা এমন এক অবস্থা লাভ করেন যে তাদের হাত, পা, চোখ, কান তথা সর্বাংগ আল্লাহ নিজের বলে ঘোষণা দেন। একেই তরিকতের পরিভাষায় ফানাফিল্লাহ বলে। অর্থাত আল্লাহর অস্তিত্বে বিলীন হওয়া বলে।
যেমনঃ পাক কালামে আল্লাহতায়ালা নবীজীকে(সাঃ) উদ্দেশ্য করে বলেন,
ক) ‘যারা আপনার হাতে হাত রেখে বায়াত হয়, তারাতো আল্লাহরই হাতেই বায়াত হয়। তাদের হাতের উপর রয়েছে আল্লাহর হাত।’(সূরা ৪৮ ফাতহঃ ১০)
খ) ‘আপনি যে ধুলির মুষ্টি নিক্ষেপ করেছিলেন তা আপনি করেননি, বরং তা করেছিলেন আল্লাহ স্ময়ং।’ (সূরা ৮ আনফালঃ ১৭)
কাজেই বুঝা গেল, আল্লাহর রাসূল(সাঃ) আল্লাহর অস্তিত্বে লীন ছিলেন বিধায় আল্লাহপাক তার হাতকে নিজের হাত বলে উল্লেখ করেছেন।
৫। তখন তারা আল্লাহর নিকট এমন এক ‌মযাদা বা সম্মান লাভ করেন যে, তাদের সাথে কেউ কোনরকম শত্রুতা করলে আল্লাহ তা বরদাস্ত বা সহ্য করেন না।
৬। তাদের প্রার্থনাসমূহ আল্লাহ অবশ্যই কবুল করেন।
৭। আল্লাহতায়ালা নিজে তাদের অশ্রয়স্থল হন।
উল্লিখিত গুণসমূহ দয়াল নবীজী(সাঃ) এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী পরিলক্ষিত হয়। তাই নবীজী(সাঃ)-ই আল্লাহর সবচেয়ে বড় বন্ধু বা ওলী। তারপর যারা নবী-করিম(সাঃ) এর পরিপূর্ণ অনুসরনের মাধ্যমে উল্লিখিত গুণসমূহ অর্জন করতে পারেন তারাও আল্লাহর সান্নিধ্য লাভে ধন্য হন। আল্লাহর ওলী বা বন্ধু হিসাবে পরিগণিত হন।
বর্তমান জামানায় আল্লাহর সর্বাধিক নৈকট্যপ্রাপ্ত সূফীসাধক হলেন বিশ্বওলী খাজাবাবা হযরত ফরিদপুরী(কুঃ ছেঃ আঃ) ছাহেব। দুনিয়াব্যপী যার কোটি কোটি মুরীদান তারই বাতেনী প্রতিপালনে আল্লাহতায়ালার নৈকট্য বা সান্নিধ্যের পথে অগ্রসর হচ্ছে।
আল্লাহর ওলীর পরিচয় দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আল্লাহর ওলীগণ হলেন জ্বলন্ত লৌহসদৃশ। এক খন্ড লৌহ যেইরুপ আগুনে পুড়িয়া আগুনের রং ধারন করে, সেইরুপ আল্লাহর ওলীগণ আল্লাহতায়ালার নূরের তাজাল্লীতে জ্বলিয়া আল্লাহর গুণে গুনান্বিত হন।
------কাবুল

Saturday, 15 October 2016

আমাদের ইসলাম : পীর-মুরীদ কাকে বলে?

আমাদের ইসলাম : পীর-মুরীদ কাকে বলে?: ‘পীর’ শব্দটি ফরাসী শব্দ, যার বাংলা অর্থ হল ‘বৃদ্ধ বা মুরব্বী’। পরিভাষায় বলা হয়, যিনি শরিয়ত, তরিকত, হাকিকত ও মারেফত তথা জাহেরী ও বাত...

পীর-মুরীদ কাকে বলে?


‘পীর’ শব্দটি ফরাসী শব্দ, যার বাংলা অর্থ হল ‘বৃদ্ধ বা মুরব্বী’। পরিভাষায় বলা হয়, যিনি শরিয়ত, তরিকত, হাকিকত ও মারেফত তথা জাহেরী ও বাতেনী জ্ঞানে জ্ঞানী-তাকেই কামেল পীর বা ওলী বলে। পবিত্র কোরআনে এরকম লোককে ‘মুর্শেদ ও হাদী’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মুরশীদ শব্দের অর্থ হল পথপ্রদর্শক। যিনি আল্লাহর আদেশ নিষেধ আল্লাহ তাআলা যেভাবে চান সেভাবে পালন করার প্রশিক্ষণ দেন তার নাম মুরশীদ বা পথপ্রদর্শক। যাকে ফার্সীতে বলে পীর।
“মুরীদ” শব্দটিও আরবী। যার অর্থ হল ইচ্ছাপোষণকারী। যে ব্যক্তি আল্লাহর আদেশ নিষেধ আল্লাহ তাআলা যেভাবে চান সেভাবে পালন করার ইচ্ছা পোষণ করে কোন বুযুর্গ ব্যক্তির হাত ধরে শপথ করে, সে ব্যক্তির নাম হল “মুরীদ”। এ ব্যাখ্যা থেকে একথা স্পষ্ট হল যে, পীর হবেন শরীয়তের আদেশ নিষেধ পালন করার প্রশিক্ষণদাতা। আর যিনি সে প্রশিক্ষণ নিতে চায় সে শিক্ষার্থীর নাম হল “মুরীদ”।
সুতরাং যে ব্যক্তি নিজেই শরীয়তের বিধান মানে না, নামায পড়ে না, পর্দা করে না, সতর ঢেকে রাখে না বা শরীয়তের আবশ্যকীয় কোন বিধান পালন করে না, সে ব্যক্তি কিছুতেই পীর তথা মুর্শীদ হতে পারে না। কারণ তার নিজের মাঝেই যখন শরীয়ত নেই, সে কিভাবে অন্যকে শরীয়তের উপর আমল করা প্রশিক্ষণ দিবে? নিজেইতো প্রশিক্ষিত নয়।
আর পীর মুরীদির এ পদ্ধতি রাসূল (সাঃ) থেকে চলে আসছে। রাসূল (সাঃ) সাহাবাদের আল্লাহমুখী হওয়ার প্রশিক্ষণ দিতেন। সাহাবারা রাসূল (সাঃ) এর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিতেন। বলা যায় রাসূল (সাঃ) হলেন সবচে’ প্রথম ও বড় পীর, ও সাহাবায়ে কিরাম হলেন প্রথম মুরীদ।

Thursday, 13 October 2016

বিশ্বওলী খাজাবাবা হযরত ফবিদপুরী(কুঃছেঃআঃ) ছাহেবর ১টি কারামতঃ



আশির দশকের কথা।ঢাকা ইউনিভাসিটির টিচার অধ্যাপক ডঃ সামাদ সাহেব সবেমাত্র ৪/৫ বার বিশ্ব জাকের মঞ্জিল পাক দরবার শরীফে এসেছেন।নিজ পরিচয় গোপন রেখেই দরবার শরীফে আসা-যাওয়া করছেন।প্রথম যেদিন এসেছিলেন হুজুরকেবলা সেদিন যে অমায়িক ব্যবহার করেছিলেন তা ভুলবার নয়।সেই থেকে এক আকষন পয়দা হয়েছে। মাঝে মাঝেই তাই দরবারে আসেন হুজুরকে দেখার জন্য। তখনও তিনি মুরীদ হন নি।
এক বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকা থেকে দরবার শরীফে আসলেন। সেদিন অনেক মুরীদান-আশেকান দরবারে এসেছেন।অনেক ভীড়। আরও দেখলেন হুজরা শরীফের বারান্দায় অনেক তরমুজ। কোন এলাকা থেকে নজরানা এসেছে। অনেকের সাথে ডঃ সামাদ সাহেবও অপেক্ষায়। হুজুর বের হলে দেখা করবেন।মনের অস্থিরতাও দূর হবে।
কিছুক্ষণ পর হুজরা শরীফের দরজা খুলে গেল। কেবলাজান হুজুর বের হয়ে বারান্দায় অনেক তরমুজ দেখে কারা এনেছে জিজ্ঞেস করে তরমুজগুলো পাক শালায় নেওয়ার নিদেশ দিলেন। ডঃ সামাদ সাহেবও ১টি তরমুজ মাথায় তুলে রওয়ানা দিয়েছেন। এমন সময় কেবলাজান হুজুর সামাদ সাহেবকে বল্লেন, ‘বাবা, আপনি না।’ সামাদ সাহেব তরমুজ নীচে নামিয়ে হুজুর কেবলাজানের পাশে দাঁড়ালেন। হুজুর কেবলা কুরসিতে বসলেন। সাথে সাথে অনেক মুরীদান ও আগন্তক হুজুরকেবলাজানকে ঘিরে দাঁড়িয়ে গেল।
হঠাত হুজুরকেবলা সামাদ সাবের দিকে অংগুলী ইশারা করে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বল্লেন, “আপনারা কি উনাকে চিনেন? উনি মাটির নীচে কি সম্পদ লুকিয়ে আছে তা বলতে পারেন।” সামাদ সাহেবতো হতবাক। তিনি অবাক বিস্ময়ে অভিভূত। কারণ তিনিতো হুজুরকে বা দরবার শরীফের কাউকেই বলেননি যে তিনি একজন ভু-তত্ত্ববিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তাহলে হুজুর কেবলা কি করে জানলেন?
বেশকিছুকাল পরে অনেক ধমীয় কিতাব অধ্যয়ন করে সামাদ সহেব বুঝতে পেরেছিলেন যে, অন্তরযামী আল্লাহতায়ালা তার বন্ধুদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তাকে অপরাপর মানুষের ভিতর ও বাহিরের খবরাখবরও জানিয়ে দেন।
(তথ্যসূত্রঃ ডঃ সামাদ সাহেব স্ময়ং)

Monday, 3 October 2016

৭২ জন শহিদে কারবালার নামঃ


আল্লাহ পাক শহীদে কারবালার আত্মত্যাগ এর বিনিময়ে ওনাদের উসীলায় আমাদের নাজাতের ব্যবস্থা করে দিন।- আমিন
(1) হযরত সৈয়েদেনা ইমাম হুসাঈন ইবনে আলী (কাররামাহু ওয়াজাহুল
কারিম) রাদিআল্লাহু
(2) হযরত আব্বাস বিন আলী (কাররামাহু ওয়াজাহুল কারবলা)
(3) হযরতসৈয়েদেনা আলী আকবর বিন হুসাঈন (রাদিআল্লাহু )
(4) হযরত সৈয়েদেনা আলী আসগর বিন হুসাঈন (রাদিআল্লাহু)
(5) হযরত সৈয়েদেনা আব্দুল্লাহ বিন আলী (কাররামাহু ওয়াজাহুল
কারিম)
(6) হযরত সৈয়েদেনা জাফর বিন আলী( কাররামাহু ওয়াজাহুল কারিম)
(7) হযরত সৈয়েদেনা উসমান বিনআলী(কাররামাহু ওয়াজাহুল কারিম)
(8) হযরতসৈয়েদেনা আবু বকরবিন আলী(কাররামাহু ওয়াজাহুল
কারিম)
(9) হযরত সৈয়েদেনা আবু বকর বিন হাসান(রাদিআল্লাহু তায়ালা
আনহু)
(10) হযরত সৈয়েদেনা কাসিম বিন হাসান(রাদিআল্লাহুু)
(11) হযরত সৈয়েদেনা আব্দুল্লাহ বিন হাসান (রাদিআল্লাহু )
(12) হযরত সৈয়েদেনা আওন বিন আব্দুল্লাহ বিন জাফর
(রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহু)
(13) হযরত সৈয়েদেনা মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ বিন জাফর
(রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহু)
(14) হযরত সৈয়েদেনা আব্দুল্লাহ বিন মুসলিম বিনআকীল(রাদিআল্
লাহু)
(15) হযরত সৈয়েদেনা মুহাম্মদ বিন মুসলিম (রাদিআল্লাহু)
(16) হযরত সৈয়েদেনা মুহাম্মদ বিন সাঈদ বিন আকীল
(রাদিআল্লাহু)
(17) হযরত সৈয়েদেনা আব্দুল রহমান বিন আকীল(রাদিআল্লাহু)
(18) হযরত সৈয়েদেনা জাফর বিন আকীল(রাদিআল্লাহু)
(19) হযরত ওনস বিন হাস` আসাদী (রাদিআল্লাহু)
(20) হযরত হাবিব বিন মাজাহির আসাদী(রাদিআল্লাহু)
(21) হযরত মুসলিম বিন আওসাজা আসাদী(রাদিআল্লাহু )
(22) হযরত কাইস বিন মাসহার আসাদী(রাদিআল্লাহু)
(23) হযরত আবু সামামা উমরু বিন আব্দুল্লাহ(রাদিআল্লাহু
(24) হযরত বুরির হামদািন(রাদিআল্লাহু
(25) হযরত হানালাবিন আসাদ( রাদিআল্লাহু)
(26) হযরত আবিস শাকরি(রাদিআল্লাহু) (27) হযরত আব্দুল রহমান
রাহবি(রাদিআল্লাহু)
(28) হযরত সাইফ বিন হাস` (রাদিআল্লাহু)
(29) হযরত আমির বিন আব্দুল্লাহ হামদানি(রাদিআল্লাহু)
(30) হযরত জুনাদা বিন হাস`(রাদিআল্লাহু)
(31) হযরত মাজমা বিন আব্দুল্লাহ(রাদিআল্লাহু)
(32) হযরত নাফে বিন হালাল (রাদিআল্লাহু)
(33) হযরত হাজ্জাজ বিন মাসরুক (রাদিআল্লাহু) মুয়াজ্জিন এ
কাফেলা
(34) হযরত ওমর বিন কারজা (রাদিআল্লাহু)
(35) হযরত আব্দুল রহমান বিন আবদে রব(রাদিআল্লাহু)
(36) হযরত জুনাদা বিন কাব(রাদিআল্লাহু)
(37) হযরত আমির বিন জানাদা(রাদিআল্লাহু)
(38) হযরত নাঈম বিন আজলান(রাদিআল্লাহু)
(39) হযরত স্বাদ বিন হাস`(রাদিআল্লাহু) (40) হযরত জুহায়ের বিন
কাইন(রাদিআল্লাহু)
(41) হযরত সালমান বিন মাজারাইব (রাদিআল্লাহু)
(42) হযরত সাঈদ বিন ওমর(রাদিআল্লাহু)
(43) হযরত আব্দুল্লাহ বিন বাসির (রাদিআল্লাহু)
(44) হযরত ইয়াজিদবিন জাঈদ কানদি(রাদিআল্লাহু)
(45) হযরত হারব বিন ওমর উল কাইস(রাদিআল্লাহু
(46) হযরত জাহির বিন আমির(রাদিআল্লাহু:)
(47) হযরত বাসির বিন আমির(রাদিআল্লাহু)
(48) হযরত আব্দুল্লাহ আরওয়াহ গাফফারি(রাদিআল্লাহু)
(49) হযরত জন (রাদিআল্লাহু)
(50) হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমির(রাদিআল্লাহু)
(51) হযরত আব্দুল আলা বিন ইয়াজিদ (রাদিআল্লাহু)
(52) হযরত সেলিম বিন আমির(রাদিআল্লাহু) আজদী
(53) হযরত কাসিম বিন হাবীব(রাদিআল্লাহু)
(54) হযরত জায়েদ বিন সেলিম (রাদিআল্লাহু)
(55) হযরত নোমান বিন ওমর (রাদিআল্লাহু) আবদী
(56) হযরত ইয়াজিদ বিন সাবিত (রাদিআল্লাহু)
(57) হযরত আমির বিন মুসলিম (রাদিআল্লাহু)
(58) হযরত সাইফ বিন মালিক (রাদিআল্লাহু)
(59) হযরত জাবির বিন হাজ্জজি(রাদিআল্লাহু)
(60) হযরত মাসুদ বিন হাজ্জজি (রাদিআল্লাহু)
(61)হযরত আব্দুল রহমান বিন মাসুদ(রাদিআল্লাহু)
(62) হযরত বাকের বিন হাই
(63) হযরত আম্মার বিন হাসান তাই(রাদিআল্লাহু)
(64) হযরত জুরঘামা বিন মালিক (রাদিআল্লাহু)
(65)হযরত কানানা বিনআতিক(রাদিআল্লাহু)
(66) হযরত আকাবা বিন স্লাট (রাদিআল্লাহু)
(67)হযরত হুর বিন ইয়াজিদ তামিমি (রাদিআল্লাহু)
(68) হযরত আকাবা বিন স্লট (রাদিআল্লাহু)
(69) হযরত হাবালা বিন আলী শিবানী (রাদিআল্লাহু)
(70) হযরত কানাবা বিন ওমর(রাদিআল্লাহুতায়াল আনহু)
(71) হযরত আব্দুল্লাহ বিন ইয়াকতার (রাদিআল্লাহু তায়ালা
আনহু)
(72) হযরত গোলাম এ তুরকি (রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহু)

Monday, 26 September 2016

পরহেজগারীর সংজ্ঞা ও গুরুত্ব


পরহেজগারীর সংজ্ঞা ও গুরুত্ব সম্পর্কে তরিকতের ইমাম হযরত মুজাদ্দেদ আলফেছানী(রাঃ) ছাহেব যা বলেনঃ
আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন স্থানে মুত্তাকী বা পরহেজগার ব্যক্তিগণের সম্পর্কে খোশ খবর দিয়াছেন। তিনি কখনও বলিয়াছেন যে, তাহারা মুক্তিপ্রাপ্ত।কখনও বলিয়াছেন, সাফল্যের অধিকারী তাহারাই। বাস্তবিকই, দুনিয়া এবং আখেরাতের সমুদয় ইজ্জত ও কল্যাণের অধিকারী মুত্তাকী বা পরহেজগার ব্যক্তিগণই। সুতরাং তাকওয়া বা পরহেজগারীর সঠিক সংজ্ঞা জানা আমাদের কর্তব্য।
হযরত মুজাদ্দেদ আলফে-ছানী (রাহঃ) বলেনঃ
....... অতএব পরকালে মুক্তিলাভ হওয়া দুইটি কাজের উপর নির্ভর করে।
প্রথমতঃ আল্লাহ্তায়ালা যে আদেশ করিয়াছেন তাহা পালন করা।
দ্বিতীয়তঃ তিনি যাহা নিষেধ করিয়াছেন, উহা হইতে বিরত থাকা।
উক্ত দুইটির মধ্যে দ্বিতীয়টিই প্রধান। আর এই দ্বিতীয়টির নামই তাক্ওয়া বা পরহেজগারী।
একদা হযরত নবী করীম (ছঃ) এর পাক দরবারের কোন এক ব্যক্তিকে এবাদতে কঠোর সাধনাকারী এবং অপর একজনকে পরহেজগার বলিয়া উল্লেখ করা হইল। তাহা শুনিয়া হযরত নবী করীম (ছঃ) উপস্থিত লোকদের বলিলেন, তোমরা পরহেজগারীর সহিত অন্য কিছুরই তুলনা করিও না। জানিয়া রাখ, পরহেজগারী তোমাদের ধর্মের মূল এবং পরহেজগারীর কারণেই মানুষ ফেরেস্তা হইতে শ্রেষ্ঠতর মর্যাদার অধিকারী। (মকতুব নং ৭৬, প্রথম খন্ড)