Tuesday, 24 May 2016

আটরশি সম্পর্কে আপনার ভুল ধারনার অবসান করুন এই পোস্টটি পড়ে!!!

        
আমাদের অন্যা ব্লগ সাইট


>>আটরশি ভন্ড,বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে নাড়ী-পুরুষ এক সাথে নাচানাচি করে,পীর পূজা করে,মাজারে সিজদা দেয়,মদ-গাজা জোয়ার আসর জমে,পাগল ফকির,চাবিজ কবজ হয়....যারা না দেখে এসব মিথ্যা প্রচার করে, তারা হল এজিদের বংশধর,ইহুদিদের কেনা গোলাম ইবলিশ শয়তানের অনুসারী।
>>>সকলের প্রতি আমার বিশেষ অনুরুদ জীবনে একবার হলেও সরাসরি নিজ চোখেঁ বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের সকল কর্মকান্ড দেখে আসেন,সাড়া বছর যে কোন সময় যেতে পারেন,আশা করি শরিয়ত বিরোধী কোন কার্যকলাপ বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে দেখাতে পারবেন না....ইনশাআল্লাহ।
>>>বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে মহা পবিত্র বিশ্ব উরস শরীফ,মহা পবিত্র বিশ্ব ফাতেহা শরীফ,শবে বরাত সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের দিন এবং বছরের ৩৬৫ দিনই যেসব কর্মকান্ড জাকের মঞ্জিলে হয়ে থাকে তা নিম্নে তুলে ধরা হল।
১| পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ সুন্নতের পাশাপাশি নফল নামাজ সহ পরতে হয়।
২| দিনভর বিভিন্ন বিভিন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ,মুফতি মাওলানা সাহেবেরা ওয়াজ নছিহত পাঠ করেন।
৩| মহা ধুম ধামের সাথে আল্লাহ আল্লাহ জিকির-আজকার করা হয়।
৪| মিলাদ,কিয়াম,মোরাকাবা-মোশাহেদা,ফাতেহা শরীফ,খতম শরীফ পাঠ কর হয়।
৫| কোরাআন তিলাওয়াত করা হয়।
৬| রাত তিনটায় সকলকে ঘুম থেকে উঠিয়ে রহমত পালন করা হয়..আল্লাহকে তিন নামে ডাকা হয়.... ইয়া আল্লাহু,ইয়া রহমানু,ইয়া রাহিম এবং নবীজিকে ইয়া রহমতাল্লিল আলামিন ফজরের নামাজের আগে পর্যস্ত পড়া হয়।
৭| ফজর নামাজ পরে ফাতেহা পাঠ,খতম শরীফ পাঠ এবং পবিত্র রওজা শরীফ জিয়ারত।
৮| কোরবানি ঈদে বিশাল ঈদ জামাত এবং হাজার হাজার পশু কোরবানি করে দেশ বিদেশে পাঠানো হয়।
৯| এখানে ধনী গরীব এর কোন বাচাই নাই,সকলে কাদে কাদ মিলিয়ে বিভিন্ন খেদমত করে থাকে।
১০| নবীজির সুন্নত অনুযায়ী মেহমানদারি করা সুন্নত তাই সাড়া বছর হাজার হাজার মানুষকে তবারক দেওয়া হয় বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে।
(এই দরবার হল আদবের দরবার,সকলে সতর্ক থাকে যেন কোন প্রকার বেয়াদবি না হয়, মদিনার ইসলাম যদি দেখতে চান,দয়া করে জীবনে একবার হলেও বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে যান)

Monday, 23 May 2016

যে কারনে হত্যা করা হয়েছে আল্লামা ফারুকিকে

★কেন হত্যা করা হয়েছিল আল্লামা
ফারুকীকে? . সৌদি রিয়ালের জোরে দাড়ি
টুপি লেবাসে নামদারি কথিত মুফতি মোল্লা
চ্যানেলে বসে মিলাদ জায়েজ নাই, মাজার
জিয়ারত শিরিক, রাসুল (দ.) কে সালাম দেওয়া
নাজায়েজ, ফাতেহা-ওরস শিরিক বলে
মানুষকে গোমরাহি করেছে।। . আর এই
শয়তানদের কবল থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে
মিডিয়ায় আল্লামা নরুল ইসলাম ফারুকি
(রহঃ) এর আগমন । . তাদের সেই শিরিক-
বিদাত ফতোয়া ফারুকি হুজুরের যুক্তির কাছে
কিছুই না ... . প্রকাশ হয়ে যাচ্ছিলো তাদের
দাড়ি-টুপি লেবাসি ভণ্ড চেহারা ,কোণঠাসা
হয়ে পড়ছে মিডিয়ায় তাদের আসল রুপ।
জনপ্রিয় হচ্ছে ফারুকি হুজুরের অনুষ্ঠান সমূহ
..................।। . পরিকল্পনা করে বাতিলরা
কিভাবে থামানো যায় ফারুকি কে ??? না
হলে মিডিয়া তাদের অস্তিত্ব থাকবে না ...।
কিছু একটা করো ............ মাথায় ঘুরতে থাকে
বাতিলদের তারেক-কামাল-ইব্রাহিমের
চোখে ঘুম নাই ......... কি করা যাই..................।। .
নব্য ইয়াজিদরা পরিকল্পনা করে ফারুকিকে
হত্যা করার ......।। . এজন্য তারা হুজুরের বাড়ির
আশেপাশে নজরদারি শুরু করে ... হজ্বের কথা
বলে বাড়িতে আসা যাওয়া করতে থাকে ......
সুযোগ বুঝে ......। আহলে সুন্নাত ওয়াল
জামাআতের রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ
ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাইখ
আল্লামা নরুল ইসলাম ফারুকি কে নির্মমভাবে
জবাই করে হত্যা করে ...... এইদেশের নব্য
ইয়াজিদরা ............।। . এই শহীদি রক্তে সকল
সুন্নিদের শপথ বাংলার জমিনে সুন্নিয়তের
পতাকা উড়াবো ।। সুন্নীয়তকে জাগিয়ে তুলব।
ইনশাআল্লাহ...... —

আহলে হাদিসদেরকে বাতিল ফেরকা বলে ঘোষণা দিলেন শায়েখ আব্দুর রহমান আল-সুদাইস


নাস্তিকতা রুখতে হলে লা মাযহাবী মানসিকতা রুখতে হবে!
অনেকের শুনতে খারাপ লাগলেও এটি বাস্তবতা। চরম সত্য।
কুরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলা পরিস্কার ইরশাদ করেছেনঃ কুরআনের মাধ্যমে অনেক মানুষ গোমরাহ হবে, আবার এ কুরআন পড়ে অনেক মানুষ হিদায়াতপাপ্ত হবে, আর কুরআনের মাধ্যমে বিভ্রান্ত হবে কেবল ফাসিকরা। (আল কুরআন)
প্রশ্ন হল ফাসিক কাকে বলে?
ফাসিকের মূল অর্থ হলঃ ঐ বকরী যে তার গলা থেকে রশি খুলে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ায়। বুঝা গেল ফাসিক শব্দের যথার্থ অনুবাদ হল "গায়রে মুকাল্লিদ"।
তো আয়াতের অর্থ দাঁড়াচ্ছেঃ কুরআন পড়েও পথভ্রষ্ট হয় গায়রে মুকাল্লিদরা।
এ কারণেই আল্লাহর বিধানাবলী বুঝিয়ে দেবার জন্য যুগে যুগে নবী রাসূলদের প্রেরণ করা হয়েছে। যেন আল্লাহর বিধান নিজের সমঝ অনুপাতে ইচ্ছেমত ব্যাখ্যা করে মানুষ গোমরাহ না হয়।
কিন্তু আফসোসের বিষয় হল, বর্তমানে যত বেশি গায়রে মুকাল্লিদী ফিতনা বাড়তেছে, তত বেশি মুফাসসিল ইসলামদের মত গায়রে মুকাল্লিদদের নাস্তিক হবার প্রবণতা বাড়ছে।
তাই, নাস্তিকতার ভয়াবতা রুখতে হলে গায়রে মুকাল্লিদী ফিতনা রুখতে হবে।
রাব্বানা লাতুযিগ কুলূবানা বাদা ইজ হাদাইতানা, ওয়াহাবলানা মিনলাদুনকা রাহমাহ, ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহাব। আমীন।

বিভিন্ন দেশ থেকে ডাঃ জাকির নায়িক কে দেওয়া হচ্ছে কাফির ফাতওয়া!!


বিভিন্ন দেশ থেকে ডাঃ জাকির নায়িক কে দেওয়া হচ্ছে কাফির ফাতওয়া!!                         
ঈমানের অসংখ্য বিষয়ের মধ্যে একটি বিষয় নিয়েও কেউ বিরুপ মন্তব্য করলে কিংবা অস্বীকার বা  উপহাস করলে অথবা অবমাননা করলে, ইসমালের বিধান মতে তার ঈমান নষ্ট হয়ে যায় এবং যে ঈমানহারা কাফির হয়ে যায়। এক্ষেত্রে প্রশ্ন হল, ইসলামে এতগুলো বিষয়ে পথভ্রষ্টতা ও আপত্তিকর উক্তির কারনে ডাঃ জাকির নায়িকের উপর কি কাফির ফাতাওয়া দেওয়া  যায় বা তাকে কাফির বলা যাবে?
ভারতের লাক্ষ্মৌ কাজী মুফতি আবুল ইরফান কাদভী সাহেব সুন্নি অনেক উলামা কনফারান্সে ডাঃ জাকির নায়িকের ভ্রান্ত বিষয় সমুহ উন্থাপনপূর্বক তাকে কাফের বলে ফাতাওয়া দিয়েছেন। তিনি এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ডাঃ জাকির নায়িক কর্তৃক ইয়াজিদের ব্যাপারে রাহিমাহুল্লাহ(আল্লাহ তার উপর রহমত দান করুন) বলা এবং তাকে জান্নাতি বলে মন্তব্য করা, তাছাড়াও ইস্প্লামের নামে সন্ত্রাসবাদের প্রতি ডাঃ জাকির নায়েকের  সমর্থন প্রভুতি কারনে তাক কাফির ফাতওয়া দেন। তখন এ বিষয়টি ভারতের ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে কভারেজ পায়।অপরদিকে মুম্বাইয়ের এক কনফারেন্সে ডাঃ জাকির নায়েকের বিতর্কিত উক্ত আজ কে তারিখ মে মূহাম্মদ (সাঃ) কো ভি মাননা হামারে লিয়ে হারাম হ্যায় এর কারনে ভারতের মুসমান্দের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয় এবং অনেকে তাকে কাফির ফাতওয়া দেন। এ নিয়ে তখন ভারতে মুসলমানগণ ডাঃ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে জনসভা ও মিছিল করে।
আর এরই সূত্র ডাঃ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়।এবং তখন হাইকোর্টের পক্ষ থেকে ডাঃ জাকির নায়িকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয় এবং মুম্বাইতে তার কনফারেন্সের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। পরিশেষে ডাঃ জাকির নায়েক ভাষাজ্ঞান সম্পর্কে তার অনভিজ্ঞতার কথা উল্লেক করতঃ সে উক্তিটি সবকতে লেসানি (মুখ ফসকে বের হওয়া ভুল) বলে প্রত্যাহার করে নেয় এবং ভবিষ্যতে এ রকম ভুল কথা না বলার অঙ্গীকার করে মুচলেখা দিয়ে হাইকোর্টে ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক জামিন লাভ করেন।

 তাছাড়া বিভিন্ন দেশের মুফতীগন ডাঃ জাকির নায়েক কে কাফির বলে ফাতওয়া দিয়েছেন।
#বেরলবী শরীফ থেকে কাফির ফাতওয়াঃ
ভারতের ইমামে আহলে সুন্নাহ আহমেদ রেযা খান ফাযেলে বেরলভী(রহঃ)এর দরবার থেকে অনেক মুফতিয়ানে কেরামের সাক্ষরসহ ডাঃ জাকির নায়েককে কাফির ফাতওয়া দিয়েছেন।
#ভারতের দেওবন্দের আলেমগণ থেকে কাফির ফাতওয়াঃ
দেওবন্দীদের দ্বীনী শিক্ষাকেন্দ্র দারুল উলুম দেওবন্দ-এর পক্ষ থেকে ডাঃ জাকির নায়েক কে দ্বল্লা ওয়া মুদ্দিল্লু(সে নিজে পথভ্রষ্ট এবং অন্যকে পথভ্রষ্টকারী) আখ্যা দেয়া হয়েছে এবং তার গোমরাহির ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে সকল মুসলমানদের কে সতর্ক করা হয়েছে।(ফাতওয়া বিভাগ দারুল উলুম দেওবন্দ,ফাতওয়া নং ৩১৩৯২, ফাতওয়া প্রদানের তারিখঃ১০ই এপ্রিল-২০১১ইং)।

#পাকিস্তান মুফতীদের থেকে কাফির ফাতওয়াঃ

পাকিস্থানের অনেক আলেম দেওবন্দী মাদ্রাসা যেমন জামায়ায়ে দারুল উলুম করাচীর পরিচালক মারিফুল কোরান প্রনেতা মুফতি শফীর ফেলে মাওলানা তাকী উসমান। তিনি দাঃ জাকির নায়েক সম্পর্কে ফাতওয়া দেয়ঃ
মানুষ মনে করে ডাক্তার জাকির নায়েক একজন অভিজ্ঞ ধর্মবেত্তা এবং ইসলাম সম্পর্কে তার যতেষ্ট জ্ঞান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। তিনি কোন অভিজ্ঞ ইসলামিক স্কলার বা আলেম-মুফতি নন। তাছাড়া তিনি আইয়ামে মুজতাহিদিন বা চার ইমামের অনুসরন শুধু পরিত্যাগ করেননি, বরং তিনি সকল ইমামগণের সমালচনা করে তাঁদের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করেছেন
  • জামেয়া বিন্নরিয়া করাচি হতে তার লেকচার শুনা থেকে সতর্কতার লক্ষে ফাতওয়া দিয়েছেন যে তার লেকচার শুনা হারাম।
  • পাকিস্থানের প্রসিদ্ধ আলেম ড. তাহেরুল আল-কাদেরীও তাকে ইয়াযিদের প্রশংসার কারনে এবং আরও বিভিন্ন বিষয়ের কারনে তাকে কাফির ফাতওয়া দিয়েছেন।
  • অপরদিকে প্রখ্যাত আলেম আল্লামা ফারুক খান রেজভীও তাকে কাফির এবং তার গোমরাহী থেকে মানুষকে দূরে থাকার আহব্বান করেছেন।

# শরীয়া ইনষ্টিটিউট আমেরিকা থেকে কাফির ফাতওয়াঃ
এ বিষয়ে আমেরিকান প্রখ্যাত ইসলামিক সেন্টার শরীয়া ইনস্টিটিউট আমেরিকার পক্ষ থেকে ডাঃ জাকির নায়েক কে নিম্ন বর্ণিত ফাতওয়া দেওয়া হয়েছেঃ-
ডাঃ জাকির নায়েকের অনেক কথা বার্তাই ভুল। তার অনেক চিন্তাধারা কুরআন ও হাদিসের দৃষ্টিতে সঠিক নয়। তা ছাড়া তিনি ইসলামের অভিজ্ঞ স্কলার নন। তাই তার অনেক রেফারেন্স যথার্থ হয় না।
#দারুল হাদিস দাম্মাজ ইয়েমেন থেকে কাফির ফাতওয়াঃ
ইয়েমেনের প্রসিদ্ধ ইসলামী মারকায দারুল হাদীস দাম্মাজ ইয়েমেন এর পক্ষ থেকে উক্ত মারকাযের প্রধান মুফতী শাইখ ইয়াহইয়া ইবনে আবু আবদূর রাহমান আল-হাজুরী 
(৩০ টি প্রশ্নের জবাব-রয়গুলো প্রমান করে যে, হিন্দুস্থানী জাকির নায়েক ও তার চিন্তাধারার অনুসারীরা গোমরাহ) নামে দলীল-প্রমানসহ বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে সুদীর্ঘ ফাতওয়া প্রকাশ করেছেন। এতে তিনি প্রমান করেছেন যে।ডাক্তার জাকির নায়েক ভুল পথে রয়েছেন এবং তিনি হক থেকে বিচ্যুত ও গোমরা।

# বাংলাদেশ থেকে কাফির ফাতওয়াঃ

বাংলাদেশের বিজ্ঞ সমস্ত আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আলেমগন ডাঃ জাকির নায়েক কাফির হওয়ার উপর একমত। তাকে ইয়াযিদের প্রশংসার জন্য এবং নবীজিকে হায়াতুন্নবী(সাঃ)অস্বীকারসহ বিভিন্ন বাতিল আকিদার কারনে তাকে কাফির হওয়ার বিষয়ে একমত। শহিদে মিল্লাত আল্লামা  শাইখ নুরুল ইসলাম ফারুকী(রহঃ) ও তাকে কাফির হওয়ার মত মাই টিভি চ্যানেলের এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেরশের আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আলেমদের মত প্রকাশ করেন।তাছাড়া বাংলাদেশের উচ্চস্তরের ২৩ জন আলেম কাফির হওয়ার ব্যাপারে একমত প্রকাশ করেছেনঃ-
তন্নধ্য উল্লেখ যোগ্য ঃ
১।ইমাম আহলে সুন্নাহ আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমী(মা.জি.আ.)।
২।আল্লামা মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন আলকাদেরী(মা.জি.আ.)   
     ৩। আল্লামা ছগীর উসমানী (মা.জি.আ.)। 
     ৪। আল্লামা ওবায়দুল হক নঈমী(মা.জি.আ.)। 
     ৫। আল্লামা মুফতি সৈয়দ অছিয়র রাহমান (মা.জি.আ.)।
     ৬। আল্লামা মুফতী কাযি আব্দুল ওয়াজেদ (মা.জি.আ.)।
     ৭।আল্লামা কাযী মুঈন উদ্দিন আশরাফি (মা.জি.আ.)।
     ৮।আল্লামা হাফেজ আশরাফুজ্জামান আল-কাদেরী (মা.জি.আ.)।
     ৯। আল্লামা হাফেজ কাযী আব্দুল আলীম রেজভী (মা.জি.আ.)।
   ১০।পীরে ত্বরিকত ছৈয়দ আল্লামা শামসুদ্দোহা বারী (মা.জি.আ.)।

Friday, 6 May 2016

তরীকা কী "তরীকার উৎপত্তি """"পর্ব ২




এ কথাটাই প্রমান করে হযরত আলী (রাঃ)এর একটি উক্তির মাধ্যমে
'''হাজা কুরআনুন নাছয়াতুন আনা কুরআন নাতেকুন """।
অর্থাৎঃ "এই কুরআন নির্বাক, আমার কুরআন স্ববাক "।অর্থাৎ ওহী বিধান, আল্লাহর ওহীর বাস্তবায়ক মহান নবী রাসুলে পাক (সাঃ)।হযরত ওসমান (রাঃ)পুস্তক আকারে যখন কুরআন লিপিবদ্ধ করলেন তখন হযরত আলী (রাঃ)বর্ণিত উক্তি করলেন, 'হে ওসমান (রাঃ)!আপনার লিখিত কুরআন বিধান। যা স্বয়ং বাস্তবায়িত হয় না, বাস্তবায়িত করতে হয়। আর আমি আলী (রাঃ)বাস্তাবায়িত কুরআন। 'রাসুলে পাক (সাঃ)ছিলেন জীবন্ত কুরআন। সেই জীবন্ত কুরআনের বাস্তবতা আমি আলী (রাঃ) এর মধ্যে বিদ্যমান।
রাসুলে পাক (সাঃ)একমাত্র আলী (রাঃ) এর সম্পর্কে বলেছেন (আনা মাদীনাতুল এল্ম ওয়া আলীয়ু বাবুহা) অর্থাৎ "আমি হলাম এলেমের শহর আর আমার এই এলেমের দরওয়াজা হযরত আলী (রাঃ)"। "রাসুল (সাঃ) স্বয়ং কুরআন এ জন্য যে কুরআনের এমন কোন বিধান নেই,যা রাসুলে পাক (সাঃ) এর জীবনে বাস্তবায়িত হয়নি। আর এই ধাঁচেই হযরত আলী (রাঃ)এর জীবন গঠিত। তার বাস্তব চিত্র রাসুলে পাক (সাঃ) এর ধরা না পরলে একমাত্র হযরত আলী (রাঃ) সম্পর্কে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এ মুল্যবান মন্তব্য করতেন না। সে জন্যই বলতে হচ্ছে, কুরআনের বাস্তব নমুনা হযরত আলী (রাঃ)এর মধ্যে বিদ্যমান ছিল। কুরআন বিধান। বাস্তবায়িত বিধান রাসুল (সাঃ)। অনুরুপ হযরত আলী (রাঃ)।যে পার্থক্য আছে তা সাধারণ্যের বোধগম্যেরর বাইরে। এই রাসুলে পাক সাঃ কে ছাহাবায় কেরাম স্বচহ্মে দেখতেন এবং হুবহু অনুকরন করতেন। যেই বিষয়টি বুঝতে কস্ট হতো, সেই বিষয় প্রশ্ন করে জেনে নিয়ে অনুরুপ অনুশীলন ও অনুকরণ করতেন। রাসুলে পাক সাঃ যে ভাবে চলতেন, খেতেন,হাটতেন,বসতেন,রোজা,নামাজ,
হজ্জ ইত্যাদি কায়েম ও আদায় করতেন অনুরুপ ছাহাবায়ে কেরাম অনুকরণ করতেন। অতএব রাসুলে পাক (সাঃ)এর সকল ক্রিয়া-কর্মই তরীকা। রাসুলে পাক (সাঃ) কোন কিছুই বলতেন না, যা তিনি করতেন না। কারন রাসুলে পাক (সাঃ)যা বলতেন, তা যদি বাস্তবে তিনি স্বয়ং না করতেন, তা হলে ছাহাবায়ে কেরাম কোন দিনই তা বাস্তবায়ন করতে সহ্মম হতেন না। সাধারন উম্মত তো নয়-ই। এই কারন ও বাস্তবায়নকে 'তরীকা 'বলা হয়। হযরত আলী (রাঃ) তাই সত্যই বলেছেন যে 'আমার কুরআন স্ববাক। 'অর্থাৎ আমি আলী (রাঃ)এর মধ্যে পবিত্র কুরআনের বিধান বাস্তবে বাস্তবায়িত।
তাই শরীয়ত বিধান,আইন, ল ক্যাটালক। এই আইন মোতাবেক কাজ করার নাম "তরীকা "।"চলবে

একাধিক পীর গ্রহণ করা জায়েজ কি না ?




প্রথমে দেখিতে হইবে মোরশেদ কামেল কি নাকেছ। যদি নাকেছ হয়, তবে বাঘ দেখিয়ে যেরুপ বকরী পলাইয়া যায়, সেরুপ তাহার নিকট হইতে ভাগিয়া যাওয়া  ফরজ ।আর যদি কামেল হন তবে তাহাকে ছাটিয়া অন্য পীর গ্রহণ করা নিষেধ। কিন্তু তিন কারনে অন্য পীর গ্রহণ করা জায়েজ আছে ।প্রথম যদি তাঁহার খেদমত করা সত্ত্বেও ফয়েজ না পাওয়া যায়। কেমন খেদমত যেরুপ মেহনত পরিশ্রম করিয়া হালাল হুজির দ্বারা পেট পূর্ণ করা যায় ।সামান্য খানার জন্য কত মেহনত ।আর আকেবাতের বেহেশতের বাদশাহী হাছেল করিতে  কি  রকম তপস্যার আবশ্যক বুঝিয়া দেখ ।দেখ হযরত মওলানা রুমী (রঃ) সাহেব কি রকম কঠোর খেদমত করিয়া তাঁহ্র পীর হযরত শামছ তীবরিজি (রঃ) সাহেবকে  বাধ্য করিয়াছিলেন ।দেখ হযরত ফরিদউদ্দিন আত্তার (রঃ) সাহেব যিনি বার বৎসর গাছের পাতা খাইয়া বার বৎসর কাঠের রুটি দেকাইয়া আপন নফছকে ভাড়াইয়া রাখিয়াছিলেন ।আর বার বৎসর দু পায়ে রশি লাগাইয়া কুয়াতে ঝুলিয়া আল্লাহ্‌ এবাদত করিয়াছিলেন ।এমন কি তাঁর চক্ষু পর্য্যন্ত কাককে খাওয়াইয়াছিলেন ।তিনিও কিরুপ কঠোর খেদমত করিয়া আপন পীর হযরত কুতুবুদ্দিন (রঃ) সাহেবকে বাধ্য করিয়াছিলেন বুঝিয়া দেখ ।পীরের সহিত তাঁহার এই সর্ত ছিল যে সাত বৎসর পর্য্যন্ত প্রত্যহ পীরকে না চাহিতে অজুর পানি যোগাইতে হইবে এবং তাহাজ্জতের নাআমাজের সময় পানি গরম করিয়া দিতে হবে ।সাত বৎসরের মধ্যে যদি ইহার ব্যতিক্রম হয় কিংবা পানির বর্তন ভাঙ্গিয়া যায় তবে আরও সাত বৎসর ঐরুপ কঠিন খেদমত করিতে হইবে।
যেহেতু আল্লার বীর হযরত ফরিদ উদ্দিন (রঃ) সাহেব দেলের মুখে তাহা স্বীকার করিয়া পীরের খেদমতে নিযুক্ত হইলেন। সাত বৎসরের শেষ রাত্রিতে হঠাৎ জলপাত্র ভাঙ্গিয়া গেল। তিনি তখন সত্বর আর একটি বর্তন সংগ্রহ করিয়া অজুর পানি গরম করিয়া দিলেন। পরদিন সকালে পীর সাহেব তাঁহাকে ডাকিয়া ফরমাইলেন, বাবা তুমি আপন অঙ্গিকার ঠিকমত পালন করিতে পার নাই, সুতরাং তোমামে আরও সাত বৎসর খেদমত করিতে হইবে ।হযরত ফরিদ উদ্দিন (রঃ) সাহ্রব দেমতে আরও সাত বৎসর ঐরুপ খেদমত করিতে লাগিলেন। শেষ দিনের রাত্রিতে প্রবল বেগে ঝড় বৃষ্টি হওয়াতে শহরের আগুন নিভিয়া গেল অতঃপর তিনি যৎপরনাস্তি ব্যস্ত হইয়া পড়িলেন। ঐ সময়ে হঠাৎ দরিয়ার পরপারে তাঁহার দৃষ্টি পড়াতে একটি আলো নজরে পড়িল। একে অন্ধকার রাতি তাহাতে জন্মানবের সাড়া নাই, সমস্ত স্থান নিরব ও নিস্তব্ধ এই অবস্থায় তিনি দরিয়ার কিনারায় পৌছিলেন। সেথায় কোন নৌকাদি ছিল না সুতরাং তিনি একটি মরা মানুশকে ধরিয়া পরপারে পৌছিলেন। তৎপর তিনি দেখিলেন যে এক বেশ্যার ঘড়ে আগুন জ্বলিতেছে। তাহাকে বলিলেন, মা তুমি দয়া করিয়া আমাকে একটু আগুন দাও। বেশ্যা তাঁহার রুপের ছটায় ও নয়নের শোভায় বিমোহিত হইয়া উন্মাদিনীর ন্যায় বলিয়া উঠিল, তুমি আমাকে মা বলিলে কেন? আমি তো কাহারও মা নই।  তোমাকে আমি আগুন দিব না। তা দিতে পারি যদি তোমার একটি চক্ষু খুলিয়া দাও। হযরত ফরিদ উদ্দিন (রঃ) সাহেব তাহাকে এক চক্ষু খুলিয়া দিয়া আগুন লইয়া দরিয়ার কিনারায় আসিলেন। পূর্ব্বৎ মরা মানুষ ধরিয়া নদী পার হইলেন।পীর সাহেব না চাহিতেই তিনি গরম পানি নিয়া হাজির করিলেন। রওশন দেল-ওয়ালা পীর বাতেনী চক্ষে সবই দেখিয়াছিলেন। সে কথা প্রকাশ না করিয়া শিষ্যকে জিগাসা করিলেন, বাবা তুমি মাথায় এরুপভাবে দেস্তার বাঁধিয়াছ কেন? আর কেনই বা এরূপ ছটফট করিতেছ?” তিনি উত্তর করিলেন, হযরত!আমার চক্ষু পীড়া হইয়াছে।‘’অতঃপর পীরের দোয়ায় তাঁহার চক্ষু মিলিল ।পরদিন হযরত কুতুব উদ্দিন (রঃ) সাহেব তাঁহাকে নিকটে  বসাইয়া অতীব স্নেহে বাতেনী নেয়ামত বখশেষ করতঃ খেলাফতি দিয়া বিদায় করিলেন।