এ কথাটাই প্রমান করে হযরত আলী (রাঃ)এর একটি উক্তির মাধ্যমে
'''হাজা কুরআনুন নাছয়াতুন আনা কুরআন নাতেকুন """।
অর্থাৎঃ "এই কুরআন নির্বাক, আমার কুরআন স্ববাক "।অর্থাৎ ওহী বিধান, আল্লাহর ওহীর বাস্তবায়ক মহান নবী রাসুলে পাক (সাঃ)।হযরত ওসমান (রাঃ)পুস্তক আকারে যখন কুরআন লিপিবদ্ধ করলেন তখন হযরত আলী (রাঃ)বর্ণিত উক্তি করলেন, 'হে ওসমান (রাঃ)!আপনার লিখিত কুরআন বিধান। যা স্বয়ং বাস্তবায়িত হয় না, বাস্তবায়িত করতে হয়। আর আমি আলী (রাঃ)বাস্তাবায়িত কুরআন। 'রাসুলে পাক (সাঃ)ছিলেন জীবন্ত কুরআন। সেই জীবন্ত কুরআনের বাস্তবতা আমি আলী (রাঃ) এর মধ্যে বিদ্যমান।
রাসুলে পাক (সাঃ)একমাত্র আলী (রাঃ) এর সম্পর্কে বলেছেন (আনা মাদীনাতুল এল্ম ওয়া আলীয়ু বাবুহা) অর্থাৎ "আমি হলাম এলেমের শহর আর আমার এই এলেমের দরওয়াজা হযরত আলী (রাঃ)"। "রাসুল (সাঃ) স্বয়ং কুরআন এ জন্য যে কুরআনের এমন কোন বিধান নেই,যা রাসুলে পাক (সাঃ) এর জীবনে বাস্তবায়িত হয়নি। আর এই ধাঁচেই হযরত আলী (রাঃ)এর জীবন গঠিত। তার বাস্তব চিত্র রাসুলে পাক (সাঃ) এর ধরা না পরলে একমাত্র হযরত আলী (রাঃ) সম্পর্কে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এ মুল্যবান মন্তব্য করতেন না। সে জন্যই বলতে হচ্ছে, কুরআনের বাস্তব নমুনা হযরত আলী (রাঃ)এর মধ্যে বিদ্যমান ছিল। কুরআন বিধান। বাস্তবায়িত বিধান রাসুল (সাঃ)। অনুরুপ হযরত আলী (রাঃ)।যে পার্থক্য আছে তা সাধারণ্যের বোধগম্যেরর বাইরে। এই রাসুলে পাক সাঃ কে ছাহাবায় কেরাম স্বচহ্মে দেখতেন এবং হুবহু অনুকরন করতেন। যেই বিষয়টি বুঝতে কস্ট হতো, সেই বিষয় প্রশ্ন করে জেনে নিয়ে অনুরুপ অনুশীলন ও অনুকরণ করতেন। রাসুলে পাক সাঃ যে ভাবে চলতেন, খেতেন,হাটতেন,বসতেন,রোজা,নামাজ,
হজ্জ ইত্যাদি কায়েম ও আদায় করতেন অনুরুপ ছাহাবায়ে কেরাম অনুকরণ করতেন। অতএব রাসুলে পাক (সাঃ)এর সকল ক্রিয়া-কর্মই তরীকা। রাসুলে পাক (সাঃ) কোন কিছুই বলতেন না, যা তিনি করতেন না। কারন রাসুলে পাক (সাঃ)যা বলতেন, তা যদি বাস্তবে তিনি স্বয়ং না করতেন, তা হলে ছাহাবায়ে কেরাম কোন দিনই তা বাস্তবায়ন করতে সহ্মম হতেন না। সাধারন উম্মত তো নয়-ই। এই কারন ও বাস্তবায়নকে 'তরীকা 'বলা হয়। হযরত আলী (রাঃ) তাই সত্যই বলেছেন যে 'আমার কুরআন স্ববাক। 'অর্থাৎ আমি আলী (রাঃ)এর মধ্যে পবিত্র কুরআনের বিধান বাস্তবে বাস্তবায়িত।
তাই শরীয়ত বিধান,আইন, ল ক্যাটালক। এই আইন মোতাবেক কাজ করার নাম "তরীকা "।"চলবে
No comments:
Post a Comment