Tuesday, 26 April 2016

শবে বরাত



 https://mishukifti.files.wordpress.com/2015/05/wpid-11336898_10153205913025999_1054535394990118786_o.jpg
শবে বরাতের নামাজঃ
শাবান মাসের পঞ্চদশ তারিখের রাত টিকে বলা হয় শবে বরাত। শবে বরাত অর্থ হল বরাতের রাত! এ রাতে জীব-জগতের আগামী বছরের ভাগ্য অর্থাৎ রুজু রোজগার এবং ভালোমন্দ ইত্যাদি নির্দিষ্ট হয় বলে এই রাত কে বলা হয় শবে বরাত। এহা একতি অত্যন্ত সার্থক নামকরন। 

শবে-বরাতে নামাজের নিয়মঃ
এরাতে এ নামাজের রাকারের সংখ্যার কোন সুনিদিষ্ট দলিল নেই!এই সম্প্রকে যে সব বর্ণনা রয়েছে,তাহার মর্মে কেবল এই টুকুই উপলদ্বি করা যায় যে, এই নামাজ যত বেশি আদায় করা যায়, ততই ছাওয়াব পাওয়া যায়। এই নামাজ আদায় করার নিয়ম এই যে, এশার নামাজের পর বেতের নামাজ বাকি রেখে এই নামাজ আদায় করতে হয়। দুই দুই রাকাত বা  চার রাকাতের নিয়ত করে এই নামাজ আদায় করতে  হয় । সুরা কেরাতের কোন সু নির্দিষ্ট নিয়ম না থাকলেও অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামদের মতে, এ নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে সুরা এখলাস,এবং দ্বিতীয় রাকাত ও একই সুরা  পাঠ করতে হয়। অবশ্য কোন কোন ওলামায়ে কেরাম বলেন যে, সবে কদরের নেয় এই নামজেও প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে সুরা এখলাস পাঠ করলে ভাল হয়। বিভিন্ন গ্রন্থে এরূপ বর্ণীত হয়েছে যে, এই নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে এক বার সুরা কদর,এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে দশবার,পঁচিশবার সুরা এখলাস পাঠ করে প্রতি রাকাত আদায় করবে।অতঃপর একশত বার দরুদ শরিফ পাঠ করে মোনাজাত করবে। অন্য কিতাবে লিখা আছে, এ রাতে বার রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে।রাহার প্রথম চার রাকাতে প্রতিরাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে দশবার করে সুরা এখলাস পাঠ করবে।তার পরবর্তি চার রাকাতে প্রতি রাকাতে সুরা ফাতেহার পর সুরা কদর,এবং পঁচিশবার সুরা এখলাস পাঠ করবে। তাহার পরবর্তী চার রাকাতে প্রতি রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে পঞ্চাশবার সুরা এখলাস পাঠ করবে।অতঃপর একশাত বার দরুদ শরিফ পাঠ করতঃ দুহাত  উঠিয়ে মোনাজাত করবে।

আরেক কিতাবে বর্ণীত হয়েছে, রাসুল(সাঃ) এই রাতে এশার নামাজ বাদে দুরাকাতের নিয়তে চৌদ্দ রাকাত নফল নামাজ আদায় কতেন এবং নামাজ শেষে নিম্নক্ত নিয়মে কোরআন পাঠ করতেন এবং মোনাজাত করতেন। নামাজে প্রতি রাকাতে তিনি সুরা ফাতেহার সাথে দশবার করে সুরা এখলাস পাঠ করতেন এবং নিম্নক্তভাবে নামজের পরে কোরানে পাকে সুরা সমুহ পাঠ করে মোনাজাত করতেন। যথাঃ

১৪ সুরা ফাতেহা,১৪ বার সুরা এখলাস,১৪বার সুরা ফালাক,১৪ বার সুরা নাস, ১৪ বার আয়াতুল কুরসি, এবং ১বার লাক্বাদ জায়াকুম হতে উক্ত আয়াতের শেষ পর্যন্ত পাঠ করতেন। উক্ত কিতানে উল্লেখিত হয়েছে যে,এরুপ ভাবে নামাজ আদায় করলে মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে বিশ বছরের ইবাদাতের ছাওয়াব বকসিশ করেন।ইহা ছাড়া বিভিন্ন কিতাবে বর্ণীত হইয়েছে যে, দু দু রাকাতের নিয়মে এ নামাজ আদায় করলেই অধিক ছাওয়াব হাছিল হয়। আর এই দুদু রাকাতের প্রতি রাকাতেই  সুরা ফাতেহার সাথে তিন বার বা সাত বার সুরা এখলাস পাঠ করাই উত্তম। কেননা সুরার সংখ্যা বেশি না বাড়িয়ে নামাজের মধ্যে মনোযোগ ও একাগ্রতা সহকারে পাঠ করাই ভাল।পক্ষান্তরে, সুরার সংখ্যা হিসাবের দিকে খেয়েল বেশি রাখা নামাজির জন্য হিতকর নয়। এ রাতে নামাজ ব্যতীত কোরআন পাকে বিভিন্ন সুরা তেলাওয়াতের  ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্ন কিতাবে বর্ণীত হয়েছে।

কোন এক কিতাবে উল্লেখ আছে,এরাতে ৭বার সুরা দোখান, ৩ বার সুরা ইয়াছিন পাঠ করলে আল্লাহতায়ালা হায়াত এবং রুজি রোজগার বৃদ্ধি করে দেন। এবং বেশুমার গুবাহ মার্জনা করেন। এহা ছাড়া কিতাবে আরো বর্ণীত আছে যে, এ তারিখ সন্ধ্যার সময় লা হাওলা ওলা-কুয়াতা ইল্লাবিল্লাহ পাঠ করলে বহু ছাওয়াবের অধিকারী হয়া যায়।
 হাদি শরিফে এরূপ বর্ণিত হয়েছে যে, শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত সূর্যাস্ত কালে ইহা চব্বিশবার পাঠ করলে আল্লাহয়ালা চব্বিশ বছরের ছগিরা গুনাহ মাফ করে দেন।          


Saturday, 16 April 2016

কবর পাকা, গিলাফ দেওয়া ও মাজারের উপর গুম্বুজঃ দেওয়া কি জায়েজ ??



কবর পাকা, কবরের উপর গিলাফ ছরানো ও মাজারের উপর গুম্বুজ নিয়ে উলামায়ে কেরামের মথ্যে অনেক আলোচনা ও সমালোচনা শুনা যায় ।কেউ বলে জায়েয আবার কেউ বলেন হারাম, মাঝখানে সাধারণ মানুষ বড়ি বিপাকে আছ্রন যে, আসলে কোনটা সঠিক। এবার আমরা দেখব রাসুলেপাক (দঃ) এই ব্যাপারে কি আমল করতেন বা কি নির্দেশ দিয়েছেন। এখানে ৩টি বিষয়:১/কবর পাকা করা ।২/কবরের উপর গেলাফ ছড়ানো। ৩/মাজারের উপর গুম্বুজ তৈরী করা। এখানে প্রথমে কবর পাকা সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ
কবর পাকা করাঃ
দলিলঃ আন মুত্তালিব ইবনে আবী ওয়াদায়া কবালা লাম্মা মাতা উছমান ইবনে মাজউন ফাদুফিনা আমারান্নবী দঃ রাজুলান আয় ইয়াতিহী বিহিজারিন ফালাম ইয়াছতাতি হাম্লাহা ফাকবালা ইলায়হা রাসুলুল্লাহি  (দঃ)ওয়া হাছারা আন যিরাআয়হী……… ছুম্মা হামালাহা ফাওয়াদবায়াহা ইন্দা রায়াছিহী ওয়া কবালা উলিমু বিহা কাবরা আখি ওয়া আদফিনু ইলায়হি মান মাতা মিন আহলী ।
অর্থাৎ, হজরত মুত্তালিব (রাঃ)বর্ণনা করেন,যখন উসমান ইবনে মাজউন (রাঃ) ইন্তেকাল করেন তখন তাঁর লাশ বের করা হয় ও দাফন করা হয়। তখন নবী করিম (দঃ)জনৈক ব্যক্তিকে এক খন্ড পাথর আনতে বলেন কিন্তু সে ইহা বহন করতে অক্ষম হয়। তখন নবী করিম (দঃ) ইহা নিজে বহন করে আনতে অগ্রসর হন ও নিজের জামা আস্তিন গুটিয়ে ফেলেন …নবীপাক (দঃ) পাথর বয়র এনে উসমান ইববে মাজউন (রাঃ) এর কবরের শিয়রে রাখেন ।তিনি বললেনঃএর দারা আমি আমার ভাই এর কবর চিহ্নিত করছি (সুনানে আবু দাউদ শরীফ ,১ম জিঃ;মেসকাত শরীফ,১৪৯পৃঃ;মেরকাত শরহে মেসকাত,৪র্থ খন্ড,১৬৭পৃঃ)
এই হাদিস দারা প্রমাণ হয়, কোন কবরকে পাথর দারা চিহ্নিত করা বা করবে পাথর ব্যবহার করা রাসুলে পাক (দঃ)এর সুন্নাত। কারণ এরুপ আল্লাহ্‌র হাবীব (দঃ) আমল করেছেন।
>দলিলঃআন আব্দুল্লা ইবনে উমর আখবারহু আন্না রাসুলাল্লাহি (দঃ)ইয়াজিলুহু বিজিল হুলাইয়ফা হিনা ইয়াতামারু ওয়া ফি হুজ্জাইতহি হিনা হাজ্জা তাহতাজ ছামুরা ফি মাওদিয়াল মাসজিদিল্লাজী জিল হুলাইফা …ইন্দা জালিকাল মাসজিদ কাবরানে আও ছালাছাতি আলাল কুনুরী রদাম্মু মিনাল হিজার )
অর্থাৎ,হজরত ইবনে উমর (রাঃ)বর্ণনা করেন, রাসুলে পাক (দঃ) হজ্ব ও উমরার জন্য রওয়ানা হলেন ও (যুলহুলায়ফা) নামক স্থানে অবতরণ করেন ।বাবলা গাছের নিচে হুলায়ফার মসজিদ …এই মসজিদের পাশে দু-তিনটি কবর আছে ।এ সব কবরে পাথরের বড় বড় খন্ড রাখা ছিল ।(সহি বুখারী শরীফ ১,খন্ড,৭০পৃঃ ফাতহুল বারী,উমদাদুল কবারী)।
এই হাদীস দারা প্রমাণ হয়,কবরের উপর পাথরের এক বা একাদিক খন্ড ব্যবহার করা জায়েয । কারণ রাসুলুল্লাহ (দঃ) এর জামানায় মসজিদের পাশে কবরস্থানে পাথরের খন্ড ব্যবহার করা হত। 


দলিলঃ ওয়া আন ইবনে আব্বাস রাঃ কালাঃ জায়ালা ফি কাবরী রাসুলুল্লাহি দঃ কাতিফাতি হামারাই)অর্থাৎ, হজরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)বর্ণনা করেন, রাসুলে কারিম (দঃ)এর রওজা শরীফের উপর একটি লাল চাঁদর বিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল (সহি  মুসলিম; মেসকাত শরীফ,১৪৮পৃঃ;মেরকাত শরহে মেসকাত,৪র্থ খন্ড,১৫৩পৃঃ;) এই হাদিস দারা প্রমাণ হয় সয়ং আল্লাহ্‌র রাসুল (সাঃ) এর রওজা শরীফে সাহাবীগণ গিলাফ হিসাবে লাল চাদর বিছিয়ে দিয়েছেন ।তাই কবরে গিলাফ ছরানো সাহাবীগণের সুন্নাত। পাশাপাশি ছিদ্দিকে আকবর হরজত আবু বকর (রাঃ) ও হরজত উমর (রাঃ)এর মাজারদবয়েও গিলাফ ছরানো আছে।
দলিলঃ আনিস সাবাই আন্না সাইদ ইবনে মালেক কালা……আন্নান্নাবী দঃ নাজালা ফি কাবরী সায়াদ ইবনে মুয়াজ ওয়া মায়াহু উছামাতা ইবনে জায়েদ ওয়া ছাতারা আলা কাবরী বি ছাওয়াবিন ) অর্থাৎ, নিশ্চয় নবী করিম (দঃ) সাইদ ইবনে মুয়াজ (রাঃ) এর কবেন নামলেন, সাথে উছামা ইবনে জায়েদ (রাঃ) নামলেন এবং তাঁর কবর একটি কাপড় দারা ঢেকে দিলেন। (মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক,৩য় খন্ড,৩২৩পৃঃ)এই  হাদিস দারা প্রমাণ হয়, যে স্বয়ং আল্লাহ্‌র রাসুল (দঃ) সাহাবীগণের কবরে গিলাফ হিসেবে কাঁপর ছরাতেন। তাই গিলাফ দেওয়া আল্লাহ্‌র নবী (দঃ)এর সুন্নাত।
অসংখ্য নবীগণের মাজারে গিলাফ দেওয়া আছে। পাশাপাশি অসংখ্য উলামা, ফোকাহা, মোজাদ্দেদ, মুজতাহিদ ও আউলিয়াগণের মাজারের উপর গিলাফ দেওয়া আছে। যেমন- হজরত ইমাম ছিয়তী, ইবনে হাজর  আস্কালানি, ইমাম তকী উদ্দিন ছুবুকী,ইমামে আজম আবু হানিফা, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম গাজ্জালী, শাহ্‌ জালাল ইয়ামেনী, শাহ্‌ পরাণ ইয়ামেনী, শাহ্‌ মোস্তফা  বোগদাদি, খাজা মইনুদ্দিন চিস্তী, গাউছে পাক আব্দুল কাদের জিলানী, মোজাদ্দেদ আলফেছানী,কাজা বাহাউদ্দিন নক্সবন্দ, শাহ্‌ আলী বোগদাদী, কাজা খান জাহান আলী প্রমূখ (রহমাতুমুল্লাহ) আউলিয়াগণের মাজার সমূহে ফিলাফ বিছানো হয়েছে।

দলিলঃ ওয়া আন ইবনে আব্বাস রাঃ কালাঃ জায়ালা ফি কাবরী রাসুলুল্লাহি দঃ কাতিফাতি হামারাই)অর্থাৎ, হজরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)বর্ণনা করেন, রাসুলে কারিম (দঃ)এর রওজা শরীফের উপর একটি লাল চাঁদর বিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল (সহি  মুসলিম; মেসকাত শরীফ,১৪৮পৃঃ;মেরকাত শরহে মেসকাত,৪র্থ খন্ড,১৫৩পৃঃ;) এই হাদিস দারা প্রমাণ হয় সয়ং আল্লাহ্‌র রাসুল (সাঃ) এর রওজা শরীফে সাহাবীগণ গিলাফ হিসাবে লাল চাদর বিছিয়ে দিয়েছেন ।তাই কবরে গিলাফ ছরানো সাহাবীগণের সুন্নাত। পাশাপাশি ছিদ্দিকে আকবর হরজত আবু বকর (রাঃ) ও হরজত উমর (রাঃ)এর মাজারদবয়েও গিলাফ ছরানো আছে। 

কবরের উপর গিলাফ দেওয়াঃ
দলিলঃ আনিস সাবাই আন্না সাইদ ইবনে মালেক কালা……আন্নান্নাবী দঃ নাজালা ফি কাবরী সায়াদ ইবনে মুয়াজ ওয়া মায়াহু উছামাতা ইবনে জায়েদ ওয়া ছাতারা আলা কাবরী বি ছাওয়াবিন ) অর্থাৎ, নিশ্চয় নবী করিম (দঃ) সাইদ ইবনে মুয়াজ (রাঃ) এর কবেন নামলেন, সাথে উছামা ইবনে জায়েদ (রাঃ) নামলেন এবং তাঁর কবর একটি কাপড় দারা ঢেকে দিলেন। (মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক,৩য় খন্ড,৩২৩পৃঃ)এই  হাদিস দারা প্রমাণ হয়, যে স্বয়ং আল্লাহ্‌র রাসুল (দঃ) সাহাবীগণের কবরে গিলাফ হিসেবে কাঁপর ছরাতেন। তাই গিলাফ দেওয়া আল্লাহ্‌র নবী (দঃ)এর সুন্নাত।
অসংখ্য নবীগণের মাজারে গিলাফ দেওয়া আছে। পাশাপাশি অসংখ্য উলামা, ফোকাহা, মোজাদ্দেদ, মুজতাহিদ ও আউলিয়াগণের মাজারের উপর গিলাফ দেওয়া আছে। যেমন- হজরত ইমাম ছিয়তী, ইবনে হাজর  আস্কালানি, ইমাম তকী উদ্দিন ছুবুকী,ইমামে আজম আবু হানিফা, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম গাজ্জালী, শাহ্‌ জালাল ইয়ামেনী, শাহ্‌ পরাণ ইয়ামেনী, শাহ্‌ মোস্তফা  বোগদাদি, খাজা মইনুদ্দিন চিস্তী, গাউছে পাক আব্দুল কাদের জিলানী, মোজাদ্দেদ আলফেছানী,কাজা বাহাউদ্দিন নক্সবন্দ, শাহ্‌ আলী বোগদাদী, কাজা খান জাহান আলী প্রমূখ (রহমাতুমুল্লাহ) আউলিয়াগণের মাজার সমূহে ফিলাফ বিছানো হয়েছে।

Thursday, 14 April 2016

বিভিন্ন যুদ্বের ময়দানে হযরত বিলাল(রাঃ) এর অবদানঃ





পবিত্র ইসলামের আলোর শিখাকে  অনির্বাণ  ওসমুজ্জ্বল রাখার জন্য মুসলিম বির সেনানীরদল শানিত কৃপান হস্তে শত্রুর মোকাবেলা করিবার জন্য ঝাঁপাইয়া পরিলেন যুদ্বের মোয়দানে। জামে শাহাদাতের প্রবল আকর্ষণ ও আল্লাহ পাকের সান্নিধ্য লাভের তীব্র অনুপ্ররনা তাহাদিগকে উজ্জীবিত করিয়া তুলিল। সত্য ,ন্যায়,এবং মঙ্গলের প্রতিষ্ঠার জন্য মুজাহিদ বাহিনী সদফা তৎপর হইয়া উঠিল। তাই প্রায় যুদ্বেই কোণ না কোণ কাজের জন্য ,তাহা না হইলেও অন্ততঃ আযান দেওয়ার জন্য হযরত বেলাল (রাঃ) এর নাম বিশেষ ভাবে স্বরনিয় হইয়া রহিয়াছে।তিনি যেসকল অভিযানে সক্রিয় অংশ গ্রহন করিয়াছিলেন, নিম্নে উহার সংক্ষিপ্ত পাঠক-পাঠিকাগনকে উপহার দেওয়া হইলঃ


বদরের যুদ্বঃ ১৭ই রমজানুল মোবারক,হিজরি ২য় শাল। কুরাইশদের বিরুদ্বে মহানবি (সাঃ)এর নেতৃতে ২৩৮ জন আনছার এবং ৮৬ জন মোহাজের লইয়া  গঠিত মুস্লিম বাহিনী মদিনা হইতে ৮০ মেইল দক্ষিণ পশ্চিমে বদরের উপত্যকায়  সমবেত হইলেন।আর আরিসা পাহাড়ের বাদ-দেশে মুসলিম শিবির স্থাপিত হইল শুক্রবারে শুরু হইল যুদ্ব।অসামান্য রন  নৈপুন্য, অপূর্ব  বিক্রম,অপরিসীম নিয়মানুবর্তিতার সংগে যুদ্ধ করিয়া মুসলমানগন  বদরের গুরুপ্তপূর যুদ্ধে জয়লাভ করেন। যুদ্ধে বিধর্মী কুরাইশদেরকে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হইতে হয়। এই যুদ্ধে ৭০জন কুরাইশ সন্য নিহত হয় সমসংখ্যা বন্দি হয় অপর দিকে মাত্র ১৪জন মুসলিম সন্য সাহাদাত বরন করেন। ঘৃনিত আবুজেহেল ও দুরাচার উমায়য়া এই যুদ্ধে নিহত হয়। হযরত বিলাল (রাঃ)এর পুর্বতন মালিক,যে তাঁহার উপর অমানুষিক বর্বরোচিত অত্যাচার করিয়াসিল,যে মহানবী (সাঃ)-কে ঘায়েল এবং ইসলামকে নির্মুল করিবার জন্য কোমর বাঁধিয়া লাগিয়াছিল,ইসলামের সেই প্রধান শত্রু উমাইয়া ইসামের বীর মুজাহিদ  হযরত বিলাল(রাঃ)-এর তীক্ষ্ণ তরবারির আঘাতে ধরাশায়ী হইয়াছিল। যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে শত্রুরা পরাজিত হইয়া যখন পালায়ন  করিতেছিল,তখন দুরাচার উমায়া আসন্ন বিপদ দেখিয়া মদীনা পুরাতন বন্ধু আব্দুর রহমান ইবনে আঊফের সাহায্য প্রার্থনা করে

 আব্দুর রহমান বব্ধুত্ত্বের প্রতিশ্রতি অনুযায়ি তাহাকে বাচাইবার জন্য পশ্চাদ্ধাবসানকারী মুজাহেদিনের দৃষ্টির অগোচরে আকটি পাহাড়ের অন্তরালে লুকাইয়া থাকিবার পরামর্শ দিলেন।কিন্তু বিজয়ের আনন্দে মাতয়ারা বীর সৈনিক হযরত বেলাল (রাঃ) তাহাকে দেখিয়া ফেলিলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য মুজাহেদীননের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া চীৎকার করিয়া বলিয়া উঠিলেন-;এই যে উমাইয়া ওতাহার ছেলে ---মহানবি (সাঃ) ও ইসলামের ঘোর শত্রু পাহাড়ের অন্তরালে পালাইয়া গেল। সে যদি বাচিয়া যায় তাহলে আমার বাচিয়া থাকা নিরর্থক। উমাইয়া ও তাহার ছেলে মুসলিম সিপাহিদের নজরে পরিয়া গেল। আর যায় কোথায়? হযরত বিলাল(রাঃ) ওকতিপয় মুসলিম সৈন্য উমাইয়ার উপর ঝাপায়া পড়িলেন। হতোদ্যম পরিশ্রান্ত উমাইয়া বেশিক্ষন টিকিয়া থাকিতে পারিলনা। হযরত বেলাল(রাঃ) এর তরবারির আঘাতে তাহার মস্তক ছিন্ন হইয়া যায়। তাহার পুত্র ও মুসলিম সেনাবাহিনির হাতে প্রান হারায়। আব্দুর রহমান তাহাকে বাচাইবার জন্য কোম চেষ্ঠা করেন নাই। কিন্তু এত বড় শ্ত্রুকে মুসলমানগণ যুদ্ধক্ষেত্র হইতে বাঁচিয়া যাইতে দিতে পারেন না। আব্দুর রহমান ছিলেন বন্ধু, তাই তিনি  বন্ধুত্ব রক্ষা করিয়া ছিলেন সত্য কিন্তু মুসলিম বাহিনিও নিজেদের কর্তব্য ও দায়িক্ত পালন করিয়া ছিলেন। সে পুত্রসহ বদরেই নিহত হয়েছিল। এই উমাইয়া কে বাচাইতে যায়া আব্দুর রহমান নিজেও ভীষণ রুপে আহত হইয়া ছিলেন,তিনি নিজের দুইটি লৌহ বর্ম হারাইয়া ছিলেন। তাই অনেক সময় অক্ষেপ করিয়া তিনি বলিতে যে, বিলাল (রাঃ)আমার বড় ক্ষতি করিয়াছে,আল্লাহপাক তাহাকে রহম দান করুন।