কবর পাকা, কবরের উপর গিলাফ ছরানো
ও মাজারের উপর গুম্বুজ নিয়ে উলামায়ে কেরামের মথ্যে অনেক আলোচনা ও সমালোচনা শুনা যায়
।কেউ বলে জায়েয আবার কেউ বলেন হারাম, মাঝখানে সাধারণ মানুষ বড়ি বিপাকে আছ্রন যে, আসলে
কোনটা সঠিক। এবার আমরা দেখব রাসুলেপাক (দঃ) এই ব্যাপারে কি আমল করতেন বা কি নির্দেশ
দিয়েছেন। এখানে ৩টি বিষয়:১/কবর পাকা করা ।২/কবরের উপর গেলাফ ছড়ানো। ৩/মাজারের উপর গুম্বুজ
তৈরী করা। এখানে প্রথমে কবর পাকা সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ
কবর পাকা করাঃ
দলিলঃ আন মুত্তালিব ইবনে আবী
ওয়াদায়া কবালা লাম্মা মাতা উছমান ইবনে মাজউন ফাদুফিনা আমারান্নবী দঃ রাজুলান আয় ইয়াতিহী
বিহিজারিন ফালাম ইয়াছতাতি হাম্লাহা ফাকবালা ইলায়হা রাসুলুল্লাহি (দঃ)ওয়া হাছারা আন যিরাআয়হী……… ছুম্মা হামালাহা ফাওয়াদবায়াহা
ইন্দা রায়াছিহী ওয়া কবালা উলিমু বিহা কাবরা আখি ওয়া আদফিনু ইলায়হি মান মাতা মিন আহলী
।
অর্থাৎ, হজরত মুত্তালিব (রাঃ)বর্ণনা
করেন,যখন উসমান ইবনে মাজউন (রাঃ) ইন্তেকাল করেন তখন তাঁর লাশ বের করা হয় ও দাফন করা
হয়। তখন নবী করিম (দঃ)জনৈক ব্যক্তিকে এক খন্ড পাথর আনতে বলেন কিন্তু সে ইহা বহন করতে
অক্ষম হয়। তখন নবী করিম (দঃ) ইহা নিজে বহন করে আনতে অগ্রসর হন ও নিজের জামা আস্তিন
গুটিয়ে ফেলেন …নবীপাক (দঃ) পাথর বয়র এনে উসমান ইববে মাজউন (রাঃ) এর কবরের শিয়রে রাখেন
।তিনি বললেনঃএর দারা আমি আমার ভাই এর কবর চিহ্নিত করছি (সুনানে আবু দাউদ শরীফ ,১ম জিঃ;মেসকাত
শরীফ,১৪৯পৃঃ;মেরকাত শরহে মেসকাত,৪র্থ খন্ড,১৬৭পৃঃ)
এই হাদিস দারা প্রমাণ হয়, কোন
কবরকে পাথর দারা চিহ্নিত করা বা করবে পাথর ব্যবহার করা রাসুলে পাক (দঃ)এর সুন্নাত।
কারণ এরুপ আল্লাহ্র হাবীব (দঃ) আমল করেছেন।
>দলিলঃআন আব্দুল্লা ইবনে উমর
আখবারহু আন্না রাসুলাল্লাহি (দঃ)ইয়াজিলুহু বিজিল হুলাইয়ফা হিনা ইয়াতামারু ওয়া ফি হুজ্জাইতহি
হিনা হাজ্জা তাহতাজ ছামুরা ফি মাওদিয়াল মাসজিদিল্লাজী জিল হুলাইফা …ইন্দা জালিকাল মাসজিদ
কাবরানে আও ছালাছাতি আলাল কুনুরী রদাম্মু মিনাল হিজার )
অর্থাৎ,হজরত ইবনে উমর (রাঃ)বর্ণনা
করেন, রাসুলে পাক (দঃ) হজ্ব ও উমরার জন্য রওয়ানা হলেন ও (যুলহুলায়ফা) নামক স্থানে অবতরণ
করেন ।বাবলা গাছের নিচে হুলায়ফার মসজিদ …এই মসজিদের পাশে দু-তিনটি কবর আছে ।এ সব কবরে
পাথরের বড় বড় খন্ড রাখা ছিল ।(সহি বুখারী শরীফ ১,খন্ড,৭০পৃঃ ফাতহুল বারী,উমদাদুল কবারী)।
এই হাদীস দারা প্রমাণ হয়,কবরের
উপর পাথরের এক বা একাদিক খন্ড ব্যবহার করা জায়েয । কারণ রাসুলুল্লাহ (দঃ) এর জামানায়
মসজিদের পাশে কবরস্থানে পাথরের খন্ড ব্যবহার করা হত।
দলিলঃ ওয়া আন ইবনে আব্বাস রাঃ
কালাঃ জায়ালা ফি কাবরী রাসুলুল্লাহি দঃ কাতিফাতি হামারাই)অর্থাৎ, হজরত ইবনে আব্বাস
(রাঃ)বর্ণনা করেন, রাসুলে কারিম (দঃ)এর রওজা শরীফের উপর একটি লাল চাঁদর বিছিয়ে দেওয়া
হয়েছিল (সহি মুসলিম; মেসকাত শরীফ,১৪৮পৃঃ;মেরকাত
শরহে মেসকাত,৪র্থ খন্ড,১৫৩পৃঃ;) এই হাদিস দারা প্রমাণ হয় সয়ং আল্লাহ্র রাসুল (সাঃ)
এর রওজা শরীফে সাহাবীগণ গিলাফ হিসাবে লাল চাদর বিছিয়ে দিয়েছেন ।তাই কবরে গিলাফ ছরানো
সাহাবীগণের সুন্নাত। পাশাপাশি ছিদ্দিকে আকবর হরজত আবু বকর (রাঃ) ও হরজত উমর (রাঃ)এর
মাজারদবয়েও গিলাফ ছরানো আছে।
দলিলঃ আনিস সাবাই আন্না সাইদ
ইবনে মালেক কালা……আন্নান্নাবী দঃ নাজালা ফি কাবরী সায়াদ ইবনে মুয়াজ ওয়া মায়াহু উছামাতা
ইবনে জায়েদ ওয়া ছাতারা আলা কাবরী বি ছাওয়াবিন ) অর্থাৎ, নিশ্চয় নবী করিম (দঃ) সাইদ
ইবনে মুয়াজ (রাঃ) এর কবেন নামলেন, সাথে উছামা ইবনে জায়েদ (রাঃ) নামলেন এবং তাঁর কবর
একটি কাপড় দারা ঢেকে দিলেন। (মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক,৩য় খন্ড,৩২৩পৃঃ)এই হাদিস দারা প্রমাণ হয়, যে স্বয়ং আল্লাহ্র রাসুল
(দঃ) সাহাবীগণের কবরে গিলাফ হিসেবে কাঁপর ছরাতেন। তাই গিলাফ দেওয়া আল্লাহ্র নবী (দঃ)এর
সুন্নাত।
অসংখ্য নবীগণের মাজারে গিলাফ
দেওয়া আছে। পাশাপাশি অসংখ্য উলামা, ফোকাহা, মোজাদ্দেদ, মুজতাহিদ ও আউলিয়াগণের মাজারের
উপর গিলাফ দেওয়া আছে। যেমন- হজরত ইমাম ছিয়তী, ইবনে হাজর আস্কালানি, ইমাম তকী উদ্দিন ছুবুকী,ইমামে আজম আবু
হানিফা, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম গাজ্জালী, শাহ্ জালাল ইয়ামেনী, শাহ্ পরাণ ইয়ামেনী, শাহ্
মোস্তফা বোগদাদি, খাজা মইনুদ্দিন চিস্তী, গাউছে
পাক আব্দুল কাদের জিলানী, মোজাদ্দেদ আলফেছানী,কাজা বাহাউদ্দিন নক্সবন্দ, শাহ্ আলী
বোগদাদী, কাজা খান জাহান আলী প্রমূখ (রহমাতুমুল্লাহ) আউলিয়াগণের মাজার সমূহে ফিলাফ
বিছানো হয়েছে।
দলিলঃ ওয়া আন ইবনে আব্বাস রাঃ
কালাঃ জায়ালা ফি কাবরী রাসুলুল্লাহি দঃ কাতিফাতি হামারাই)অর্থাৎ, হজরত ইবনে আব্বাস
(রাঃ)বর্ণনা করেন, রাসুলে কারিম (দঃ)এর রওজা শরীফের উপর একটি লাল চাঁদর বিছিয়ে দেওয়া
হয়েছিল (সহি মুসলিম; মেসকাত শরীফ,১৪৮পৃঃ;মেরকাত
শরহে মেসকাত,৪র্থ খন্ড,১৫৩পৃঃ;) এই হাদিস দারা প্রমাণ হয় সয়ং আল্লাহ্র রাসুল (সাঃ)
এর রওজা শরীফে সাহাবীগণ গিলাফ হিসাবে লাল চাদর বিছিয়ে দিয়েছেন ।তাই কবরে গিলাফ ছরানো
সাহাবীগণের সুন্নাত। পাশাপাশি ছিদ্দিকে আকবর হরজত আবু বকর (রাঃ) ও হরজত উমর (রাঃ)এর
মাজারদবয়েও গিলাফ ছরানো আছে।
কবরের উপর গিলাফ দেওয়াঃ
দলিলঃ আনিস সাবাই আন্না সাইদ
ইবনে মালেক কালা……আন্নান্নাবী দঃ নাজালা ফি কাবরী সায়াদ ইবনে মুয়াজ ওয়া মায়াহু উছামাতা
ইবনে জায়েদ ওয়া ছাতারা আলা কাবরী বি ছাওয়াবিন ) অর্থাৎ, নিশ্চয় নবী করিম (দঃ) সাইদ
ইবনে মুয়াজ (রাঃ) এর কবেন নামলেন, সাথে উছামা ইবনে জায়েদ (রাঃ) নামলেন এবং তাঁর কবর
একটি কাপড় দারা ঢেকে দিলেন। (মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক,৩য় খন্ড,৩২৩পৃঃ)এই হাদিস দারা প্রমাণ হয়, যে স্বয়ং আল্লাহ্র রাসুল
(দঃ) সাহাবীগণের কবরে গিলাফ হিসেবে কাঁপর ছরাতেন। তাই গিলাফ দেওয়া আল্লাহ্র নবী (দঃ)এর
সুন্নাত।
অসংখ্য নবীগণের মাজারে গিলাফ
দেওয়া আছে। পাশাপাশি অসংখ্য উলামা, ফোকাহা, মোজাদ্দেদ, মুজতাহিদ ও আউলিয়াগণের মাজারের
উপর গিলাফ দেওয়া আছে। যেমন- হজরত ইমাম ছিয়তী, ইবনে হাজর আস্কালানি, ইমাম তকী উদ্দিন ছুবুকী,ইমামে আজম আবু
হানিফা, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম গাজ্জালী, শাহ্ জালাল ইয়ামেনী, শাহ্ পরাণ ইয়ামেনী, শাহ্
মোস্তফা বোগদাদি, খাজা মইনুদ্দিন চিস্তী, গাউছে
পাক আব্দুল কাদের জিলানী, মোজাদ্দেদ আলফেছানী,কাজা বাহাউদ্দিন নক্সবন্দ, শাহ্ আলী
বোগদাদী, কাজা খান জাহান আলী প্রমূখ (রহমাতুমুল্লাহ) আউলিয়াগণের মাজার সমূহে ফিলাফ
বিছানো হয়েছে।
No comments:
Post a Comment