আমার মতে দয়াল নবী(সাঃ) এর মে'রাজ কেবল মাত্র স্বাপ্নিক বা আধ্যাত্মিক
নহে। * রাসূলে পাক (সাঃ) এর নবুয়তের একাদশ বা দ্বাদশ বৎসরে যে মে'রাজ
সংঘটিত হয় তাহা যেমনই আধ্যাত্মিক ছিল, তেমনি শারীরিকও ছিল। * নবীজী (সাঃ)
দেহ ও আত্মাসহ সমষ্টিগত ভাবে মে'রাজে গমন করিয়াছিলেন। * তদীয় দেহ সাধারণ
মানুষের দেহের অনুরুপ ছিল না। (খন্ড ১৭, পৃষ্টা ২৩)
* আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ঐক্যবদ্ধ মত এই যে, জড় জগতে থাকিয়া চর্ম চক্খুতে আল্লাহতায়ালাকে দেখা সম্ভব নহে। এই ফকিরের মতও তাই। * নবীজী (সাঃ) এই জগত হইতে খোদাকে দেখিয়াছেন-এমন কথাতো আমরা বলিনা। মে'রাজ রজনীতে তিনি জড় জগত,নূরের জগত ও সিফাতের জগত পার হইয়া উচ্চতম প্রান্ত হোব্বে সেরফা হইতে কুওতে নজরিয়ার মাধ্যমে খোদাতায়ালাকে দেখিয়াছেন। * এখন কথা হইল-নবীজী(সাঃ) এর দর্শন চর্মচক্খুতে ছিল,নাকি আধ্যাত্মিক চক্খুতে ছিল? আমাদের বক্তব্য এই যে, নবীজী(সাঃ) মে'রাজ রজনীতে খোদাতায়ালাকে চর্ম চক্খুতেই দেখিয়াছিলেন। * ঊর্ধ্বজগতে নবীজী(সাঃ) এর ছিনা চাকের মাধ্যমে দেহকে টিকাইয়া রাখার ব্যাবস্থা যেমন খোদাতায়ালা করিয়াছিলেন, তেমনি জাতি নূরের প্রখরতা সহ্য করার শক্তিও তদীয় চক্খুতে তিনিই দান করিয়াছিলেন। * নবুয়তের একাদশ বা দ্বাদশ বৎসরের মে'রাজ শারীরিক বিধায় সেইবারের মে'রাজে খোদাদর্শনও ছিল দৈহিক চোখে। এতদ্বতীত আধ্যাত্মিক বা স্বাপ্নিক মে'রাজকালীন সময়ে খোদাদর্শন ছিল বাতেনী দৃষ্টিতে বা স্বপ্নে। (পৃষ্টা ৪১,৪২)
* শারীরিক মে'রাজ রাসূলে পাক (সাঃ) এর জন্য খাছ ছিল। তবে উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য আধ্যাত্মিক মে'রাজের দরজা খোলা আছে। (পৃষ্টা ৪৩)
* সালাত বা নামাজ মোমেনের জন্য মে'রাজ। (হাদীস) কাজেই বুঝা গেল, মে'রাজ ধন কেবলমাত্র নবীজীই (সাঃ) লাভ করিলেন না, প্রেমাস্পদ উম্মতের জন্যও তিনি তাহা চাহিয়া আনিলেন। আনিলেন তপ্ত অশ্রুর বিনিময়ে। এই মে'রাজ পাওয়া যায় নামাজের মধ্যে। তবে তাহা প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজন রাসূলে পাক(সাঃ) এর পরিপূর্ণ অনুসরণ তথা জাহেরী ও বাতেনী অনুসরণ। কেবলমাত্র জাহেরী অনুসরণে নামাজে মে'রাজ বা দীদার পাওয়া যায় না। জাহেরী ওলামা সকলের বাতেনী অনুসরণ না থাকায় মে'রাজের নেয়ামততো দূরের কথা, সামান্য ঘ্রণও তাহারা পান না। *( নসিহত খন্ড ১৭, পৃষ্টা ৫১,৫২)
* আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ঐক্যবদ্ধ মত এই যে, জড় জগতে থাকিয়া চর্ম চক্খুতে আল্লাহতায়ালাকে দেখা সম্ভব নহে। এই ফকিরের মতও তাই। * নবীজী (সাঃ) এই জগত হইতে খোদাকে দেখিয়াছেন-এমন কথাতো আমরা বলিনা। মে'রাজ রজনীতে তিনি জড় জগত,নূরের জগত ও সিফাতের জগত পার হইয়া উচ্চতম প্রান্ত হোব্বে সেরফা হইতে কুওতে নজরিয়ার মাধ্যমে খোদাতায়ালাকে দেখিয়াছেন। * এখন কথা হইল-নবীজী(সাঃ) এর দর্শন চর্মচক্খুতে ছিল,নাকি আধ্যাত্মিক চক্খুতে ছিল? আমাদের বক্তব্য এই যে, নবীজী(সাঃ) মে'রাজ রজনীতে খোদাতায়ালাকে চর্ম চক্খুতেই দেখিয়াছিলেন। * ঊর্ধ্বজগতে নবীজী(সাঃ) এর ছিনা চাকের মাধ্যমে দেহকে টিকাইয়া রাখার ব্যাবস্থা যেমন খোদাতায়ালা করিয়াছিলেন, তেমনি জাতি নূরের প্রখরতা সহ্য করার শক্তিও তদীয় চক্খুতে তিনিই দান করিয়াছিলেন। * নবুয়তের একাদশ বা দ্বাদশ বৎসরের মে'রাজ শারীরিক বিধায় সেইবারের মে'রাজে খোদাদর্শনও ছিল দৈহিক চোখে। এতদ্বতীত আধ্যাত্মিক বা স্বাপ্নিক মে'রাজকালীন সময়ে খোদাদর্শন ছিল বাতেনী দৃষ্টিতে বা স্বপ্নে। (পৃষ্টা ৪১,৪২)
* শারীরিক মে'রাজ রাসূলে পাক (সাঃ) এর জন্য খাছ ছিল। তবে উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য আধ্যাত্মিক মে'রাজের দরজা খোলা আছে। (পৃষ্টা ৪৩)
* সালাত বা নামাজ মোমেনের জন্য মে'রাজ। (হাদীস) কাজেই বুঝা গেল, মে'রাজ ধন কেবলমাত্র নবীজীই (সাঃ) লাভ করিলেন না, প্রেমাস্পদ উম্মতের জন্যও তিনি তাহা চাহিয়া আনিলেন। আনিলেন তপ্ত অশ্রুর বিনিময়ে। এই মে'রাজ পাওয়া যায় নামাজের মধ্যে। তবে তাহা প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজন রাসূলে পাক(সাঃ) এর পরিপূর্ণ অনুসরণ তথা জাহেরী ও বাতেনী অনুসরণ। কেবলমাত্র জাহেরী অনুসরণে নামাজে মে'রাজ বা দীদার পাওয়া যায় না। জাহেরী ওলামা সকলের বাতেনী অনুসরণ না থাকায় মে'রাজের নেয়ামততো দূরের কথা, সামান্য ঘ্রণও তাহারা পান না। *( নসিহত খন্ড ১৭, পৃষ্টা ৫১,৫২)
No comments:
Post a Comment