যখন ইব্রাহিম (আঃ)এর বিবি এবং
কচি শিশু ইসমাইল (আঃ)কঠিন পিপাসার কারনে জমিনের উপর উরু ছটফট করতে ছিলেন তখন আল্লাহ্র
কুদরতে প্রস্তর ভুখন্ড থেকে পানির ফোয়ারা প্রবাহিত হতে লাগলো। পানির ফোয়ারা প্রবাহের
তেজ দেখে সাইয়্যেদা হাজেরা (আঃ)কচি শিশু ইসমাইল (আঃ)এর ক্ষতি হতে পারে বা ডুবে যাওয়ার
আশংকায় বলেনঃ জম জম (থেমে যাও)। হাজেরা (আঃ)এর
এ কথা বলার সাথে সাথে প্রবল তোড়ে প্রবাহমান পানি মনহর গতিতে প্রবাহিত হতে লাগলো। আর
এ জন্যই ঐ কুয়ার নাম হয়েছে জম জম’। হাজার হাজার বছর অতিক্রিম হলেও আজ সেই কুয়ার নাম
হয়েছে জম জম।শতসহ স্র বছর অতিক্রম হলে কি হবে,আজও সেই কুয়া প্রবাহমান অবস্থায় আছে এবং
থাকবে। মক্কায় হজ্জে গমনকারীদের জন্য ইহা এক সবোকৃষ্ট তোহফা (হাদীয়াহ)। অতীব আদবের
সাথে অজু অবস্থায় কেবলারোক হয়ে দন্ডায়মান অবস্থায় ঐ পানি পান করতে হয় । ঐ পানির এই
খাছ হুকুম এ জন্য যে,ইহা আমাদের সর্দার হরযত ইব্রাহিম (আ:)এর বদৌলতে লাভ হয়েছে। আর
এ জন্যই দুনিয়ার সকল পানি অপেক্ষা এই পানি ভিন্ন এক স্বত্নক্ত মর্তবা বহন করে ।এই পানির
বরকতে কঠিন কঠিন রোগ আরোগ্য হয়।বর্ণিত আলোচনায় এ কথা হয় যে, ইসলামের মধ্যে কোন ঘটনাকে
স্বরণীয় করে মান্য করাই শুধু বৈধ নয়; বরং বিভিন্ন আমলকে শরীয়তের চিরন্তন ও স্থায়ী অংগ
তৈরি করে তা সার্বক্ষণিক ভাবে আমলে পরিণত করার
নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। মীলাদুন্নবী (সঃ)কে ঐ একই দৃষ্টি কোন থেকে আমাদের অবলোকন
করতে হবে।কেননা হুজুর নবী আকরাম (সঃ)আল্লাহ্র রহমত।তার ফজল এবং তার সর্বাপেক্ষা বড়
এহসান ও নেয়ামত এই যে,তাকে আল্লাহ্ তবারক তায়ালা মানব জাতির উপর মানবীয় রুপে প্রদান
করেছেন। এই ফজল ও এহসানের উপর কৃতগতা প্রকাশের নিমিও মীলাদুন্নবী (সঃ)এর উৎসব করা হয়।
যাতে অন্তর সমূহে রাসূলে পাক (সঃ)এর এশক মহব্বতের আকুলতা প্রজ্জলিত হয় এবং তার (সঃ)আনুগত্যের
প্রতি উৎসাহ উদ্দীপ্না আরো জাগ্রত হয়।
Tuesday, 29 March 2016
Friday, 25 March 2016
ইমাম মালেক(রঃ) এর নবীপ্রেম
ইমাম মালিক (রঃ) দুনিয়াকে খুবই তুচ্ছ জানতেন। ইমাম শাফিয়ী(রঃ) বলেন, আমি একবার ইমাম মালিকের বাড়ীতে খোরাসানী ঘোড়া ও মিসরীয় খচ্চরের এমন উন্নতমানের একটি পাল দেখলাম, এর আগে যা আমি দেখিনি। আমি তাঁকে বললাম বেশ, কি চমৎকার পাল! তিনি বললেন, হে আবদুল্লাহ! এগুলো আমার পক্ষ থেকে তোমাকে হাদিয়া। আমি বললাম, আপনি নিজে চলার জন্য এর একটি রেখে দিন। তিনি বললেন, আমি আল্লাহ তা’আলার কাছে লজ্জাবোধ করি, যে মাটিতে তাঁর নবী (সাঃ) শুয়ে আছেন, সে মাটি আমার ঘোড়া পদদলিত করবে?
তথ্যসূত্রঃ ইহইয়াউলুমদ্দিন, লেখকঃ ইমাম গাজ্জালী(রঃ)
Tuesday, 22 March 2016
উরস শরিফ আরবী শব্দ না ফারসি নয়।
আয় আহমেদকে বলছি-উরস ফারসি নয়, আরবি শব্দ। যার একটি অর্থ পোস্টে দেওয়া হয়েছে।আর একটি অর্থ আপনি দিয়েছেন।এ প্রসংগে বিশ্বওলী খাজাবাবা ফরিদপুরী(কুঃ) ছাহেব তার নসিহতে আরও বলেন,‘উরস’ আরবী শব্দ। লোগাত বা অভিধানে ইহার নানাবিধ অর্থ পরিলক্ষিত হয়।ওলেমা, বিবাহ বা বিবাহ উপলক্ষে খানা-পিনা, ফূলশয্যার বাসর যাপন ইত্যাদি উরস শব্দের আভিধানিক অর্থ। লোগাত সাঈদী, লোগাত ফেরোজী বা মেছবাহুল লোগাতে উল্লিখিত অর্থ দেখা যায়। ইহা ছাড়াও উরস শব্দের আরও দুইটি বিশেষ অর্থ পরিলক্ষিত হয়। যথাঃ
মিলন,
ওলী-আল্লাহগণের বা পীরে কামেলগণের মৃতুবার্ষিকীতে তাঁহাদের পবিত্র রূহে ছওয়াব রেছানীর উদ্দেশ্যে উদ্যাপিত ধর্মীয় অনুষ্ঠান।
ডঃ শেখ গোলাম মাক্ছুদ সম্পাদিত ‘‘Perso Arabic elements in Bengali” গ্রন্থে উরস শব্দের নিম্নলিখিত দুইটি অর্থ দেখা যায়ঃ- Anniversary in memory of a saint-যাহার অর্থ দাঁড়ায়ঃ কোন খোদাতত্ত্বজ্ঞ সাধকের মৃত্যুবার্ষিকী উৎযাপন অথবা সাধকের স্মরণে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি। ডঃ এনামুল হক সম্পাদিত এবং বাংলা একাডেমী কর্তৃক প্রকাশিত ব্যবহারিক বাংলা অভিধানে উরস শব্দের অর্থ লেখা আছেঃ ওলী দরবেশের বেছালতে তাঁহাদের সমাধিস্থলে পবিত্র অনুষ্ঠান বিশেষ।
উরস শব্দের মূল ভাষাগত বা ব্যুতপত্তিগত অর্থ মিলন। ওলী-আল্লাহসকল বা খোদাতত্ত্বজ্ঞ সাধকবর্গ ইন্তেকালের সাথে সাথে খোদাতায়ালার সান্নিধ্যে চলিয়া যান, খোদাতায়ালার সহিত মিলিত হন। এই মিলন হয় মাশুকের সহিত আশেকের, বিশ্ব আত্মার সহিত পুণ্যাত্মার। এই মিলন বড় আনন্দময়। আর মৃত্যুই এই মহামিলনে সহায়তা করে বিধায় রাসূলে পাক (সাঃ) বলিয়াছেন, ‘‘মৃত্যু একটি সেতু যাহা বন্ধুর সাথে বন্ধুর মিলন ঘটায়।” এই আনন্দময় আধ্যাত্মিক মহামিলন নবী (আঃ) গণ ও নায়েবে নবী তথা ওলী-আল্লাহগণের ভাগ্যেই ঘটে। কারণ তাহারা বন্ধুত্বের মর্যাদা প্রাপ্ত। তাহারা নাফসে আম্মারার সাথে জেহাদ করিয়া তথা জেহাদে আকবরে নাফসকে পর্যুদস্ত করিয়া, দুনিয়ার দাসত্ব মুক্ত হইয়া, দৈহিক আকর্ষণ ছিন্ন করিয়া, দুনিয়ায় অবস্থান কালেই খোদাতায়ালার সান্নিধ্যে পৌঁছান, খোদাতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করেন এবং তদীয় বন্ধুত্বের আসনে আসীন হন। তাই ইন্তেকালের অব্যবহিত পরেই তাহারা খোদাতায়ালার সহিত বা বিশ্ব আত্মার সহিত মিলিত হওয়ার সৌভাগ্যে সৌভাগ্যশালী হন। ইহা পরম আনন্দঘন এক আধ্যাত্মিক মিলন।
যে দিবসে সাধকের পুণ্যাত্মা বিশ্ব আত্মার সহিত মিলিত হয়, সেই দিবসে তাঁহার পবিত্র রূহে ছওয়াব রেছানীর উদ্দেশ্যে যে ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি উদযাপন করা হয়-তাহা ‘‘উরস” নামে খ্যাত।
এক বেদুঈন ও নবীজী(সাঃ)
এক বিদুইন তার কাপড়ের আস্তিত্বের ভিতরে কিছু লুকিয়ে হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর খেদমতে হাজির হলো এবং বললো, হে মুহাম্মদ! যদি তুমি বলতে পার যে আমার আস্তিনের ভিতর কি আছে, তাহলে আমি স্বীকার করবো যে তুমি সত্যিকার নবী। হুযুর ফরমালেন, সত্যিই তুমি ঈমান আনবে? সে বললো, হ্যাঁ, ঠিক! আমি ঈমান আনবো। হুযুর ফরমালেন, তহলে শুন, তুমি এক জংগল দিয়ে যাচ্ছিলে, পথের ধারে এক গাছ দেখলে, যেখানে কবুতরের বাসা ছিল। সেই বাসায় কবুতরের দুটি বাচ্ছা ছিল। তুমি বাচ্ছা দুটি...
See More
Monday, 21 March 2016
রাসুলে পাক (সা) বলেন
ইসমাঈল
(রঃ)....আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
বলেছেনঃ জেনে রেখো! তোমাদের প্রত্যেকেই একজন দায়িত্বশীল; আর তোমরা
প্রত্যেকেই নিজ অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব ইমাম, যিনি জনগণের
দায়িত্বশীল, তিনি তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন। পুরুষ গৃহকর্তা
তার পরিবারের দায়িত্বশীল; সে তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। নারী
তার স্বামীর পরিবার, সন্তান-সন্ততির উপর দায়িত্বশীল, সে এসব সম্পর্কে
জিজ্ঞাসিত হবে। কোন ব্যক্তির দাস স্বীয় মালিকের সম্পদের দায়িত্বশীল; সে এ
সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব জেনে রাখ, প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের
প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্বাধীন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। - (বুখারী
শরীফ, হাদিস নং-৬৬৫৩, ইফা)।
Friday, 18 March 2016
কুরআন সুন্নাহ এর দৃষ্টিতে আল্লাহর ওলীগণের অন্তরদৃষ্টিঃ
সাধারণ
মানুষের দৃষ্টি শক্তি ও আল্লাহর ওলীগণের দৃষ্টি শক্তি এক নয়। সাধারণ মানুষ
তাদের চক্ষু দ্বারা চোখের সামনের বস্তু ছাড়া আর কিছুই দেখতে পায় না, আর
আল্লাহর ওলীগণ তাঁদের অন্তরদৃষ্টি দ্বারা সৃষ্টি জগতের যে কোন অবস্থা তথা
ভিতর-বাহির অবলোকন করতে পারে। নিচে এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের
আলোকে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলঃ
পবিত্র কোরআনের আলোকেঃ
মহান আল্লাহতা’লা বলেনঃ “ইন্না ফী যালিকা লা আ-ইয়া-তিল্ লিল্ মুতাওয়াচ্ছেমীন।” নিশ্চয় এতে গভীর দৃষ্টিশীলদের জন্যে রয়েছে নিদর্শন (সূরা হিজরঃ ৭৫ নং আয়াত)
এই আয়াতে (লিল্মুতাঅস্সিমীন)বলতে আল্লাহর ওলীগণের অন্তরদৃষ্টিকে বুজানো হয়েছে। যেমনঃ
দলিলঃ হজরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন লোক। হজরত মুজাহিদ (রাঃ) বলেন আর্ন্তদৃষ্টি সম্পন্ন লোক (তাফছিরে মায়ালেমু তানজিল, ৩য় খন্ড ২৩৯ পৃঃ; তাফছিরে খাজেন, ৩য় খন্ড ৬০পৃঃ; তাফছিরে রুহুল মায়ানী, ১৪ তম খন্ড ৪২৮ পৃঃ; তাফছিরে তাবারী শরিফ, ১৪ তম খন্ড ৫০ পৃঃ; তাফছিরে কবির, ১৯ তম খন্ড ১৬৮ পৃঃ; তাফছিরে ইবনে আব্বাস ২য় খন্ড তাফছিরে মাজহারী, ৫ম খন্ড ১৭২ পৃঃ; জালালাইন শরিফ, ২১৪ পৃঃ; ইবরে কাছির ,২য় খন্ড ,৬৯২পৃঃ; তাফছিরে দূর্রে মারছুর, ৪র্থ খন্ড , ১৯৪ পৃঃ;)
সুতরাং, এই আয়াতের সহজ অনুবাদ হবেঃ আর্ন্তদৃষ্টি সম্পন্ন লোকদের জন্যে রয়েছে নিদর্শন।
তাফছিরে রুহুল মায়ানীতে আরোও উল্লেখে আছেঃ বিশিষ্ট সাহাবী হজরত জাফর ইবরে মুহাম্মদ (রাঃ) বলেনঃ (মুতাঅস্সিমীন) হলঃ অন্তরদৃষ্টি সম্পন্ন লোক (রুহুল মায়ানী, ১৪তম খন্ড, ৪২৮পৃঃ)।
এ ব্যাপারে আরোও উল্লেখ আছেঃ হজরত উবাইদ (রঃ)বলেন, এই আয়াতের ব্যাপারে আমি দ্বাহ্হাক (রঃ) কে বলতে শ্তনেছি (লিল মুতাওয়াচ্ছেমীন) হল দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন লোক(তাফছিরে তাবারী শরিফ, ১৪ তম খন্ড ৫৬০পৃঃ তাফছিরে কুরতবী, ১০ম খন্ড ৩৪পৃঃ)।
এ ব্যাপারে আরোও উল্লেখ আছেঃ হজরত আবু উবায়দা (রাঃ) বলেনঃ (লিল মুতাঅস্সিমীন) হলঃ চক্ষুস্মান ব্যক্তি (তাফছিরে কুরতবী, ১০ম খন্ড ৩৪পৃঃ )অন্তরদৃষ্টিকেই বলা হয় চক্ষুস্মান।
সুতরাং, পবিত্র কোরআন আল্লাহর নেক বান্দাগনের অন্তরদৃষ্টি স্বীকার করে। (লিল মুতাঅস্সিমীন গভীর চিন্তাশীল ও অন্তরদৃষ্টি সম্পন্ন লোক, যারা তাঁদের দৃষ্টিশক্তি দ্বারা চিহ্নিত করতে পারে এমনকি নিদর্শন দেখে প্রত্যেক বস্তর হাকিকত জানতে পারে (তাফছিরে আবু ছাউদ, ৪র্থ খন্ড , ৩০৭ পৃঃ; তাফছিরে রুহুর বয়ান, ৪র্থ খন্ড, ৫৮৯ পৃঃ)।
সুতরাং আল্লাহর ওলীগণ অন্তরদৃষ্টি দ্বারা সৃষ্টি জগতের যেকোন অবস্থা দেখতে পায় ও হাকিকতের জ্ঞানী হতে পারেন। হজরত আবু ছাইদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলে পাক (ছাল্রাল্লাহু আরায়হি ওয়া ছাল্লাম ) বলেছেনঃ তোমরা মু’মিনের অন্তরদৃষ্টিকে ভয় কর,নিশ্চয় তারা আল্লাহর নুর দিয়ে দেখেন ( জামে তিরমিজি শরিফ ২য় খন্ড ১৪৫ পৃঃ; তাফছিরে কাবির শরিফ, ১ম খন্ড , ১২৭ পৃঃ; ২৩ তম, খন্ড, ১৪৫পৃঃ; তাফছিরে রুহুল বয়ান ১ম খন্ড ৩৯ পৃঃ; ৪র্থ খন্ড ৫৯০ পৃঃ; ২য় খন্ড ৪৫৫ পৃঃ; তাবারানী তাঁর আওছাদে ২য় খন্ড ২৭১ পৃঃ; ও ৬ষ্ঠ খন্ড, ১৯ পৃঃ; (সনদঃ হাছান) তাবারানী তাঁর “ কবিরে ( ১০২/৮) হাঃ ৭৪৯৪;মজমুয়ায়ে জাওয়াহেদ’ (২৭১/১০) ছেররুল আছরার, [কৃতঃহুজুর গাউছে পাক আব্দুল কাদের জিলানী (রাঃ)]১২২ পৃঃ; আলবেদায়া ওয়ান নেহায়া , ২য় খন্ড , ৪০৯ পৃঃ; তাফছিরে কুরতবী, ১০ ম খন্ড , ৩৪ পৃঃ; নাওয়াদেদরুল উছুল, ২৭১ নং হাঃ; থাফছিরে কুরতবী, ১৪ তম খন্ড , ৫০ পৃঃ; রুহুল মায়ানী, ১৪ তম খন্ড , ৪২৯ পৃঃ; তাফছিরে খাজেন, ৩য় খন্ড , ৬০পৃঃ; ইবনে কাছির, ২য় খন্ড ৬৯২ পৃঃ; সাবাছিদুল হাছানাহ, ১৯ পৃঃ; এহইযায়ে উলুমুদ্দিন, ৩য় খন্ড ৩২ পৃঃ; কাশফুল খফা, ১ম খন্ড ,৩৫ পৃঃ)।
এই হাদিস দ্বারা প্রমান হয়, মু‘মিনে কামেল তথা আল্লাহর ওলীগণ আল্লাহর নূর দিয়ে সব কিছু দেখতে পারেন।
দলিলঃ হযরত ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, রাসূলে করিম (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা মু‘মিনের অন্তর দৃষ্টিকে ভয় কর, নিশ্চয় মু‘মিন আল্লাহর নূর দিয়ে দেখেন (তাফছিরে ইবনে কাছির, ২য় খন্ড ৬৯২পৃ; তাফছিরে তাবারী শরিফ, ১৪ তম খন্ড, ৫০পৃঃ,; আবু নুয়াইম তাঁর ‘হুলিয়াতে’ ৯৪/৪; তাফছিরে দূর্রে মানছুর, ৪র্থ খন্ড, ১৯৪ পৃঃ; দ্বায়ফুজ জামে,১২৭)।
এই হাদিসেও মু‘মিনে কামেলের অন্তর দৃষ্টির কথা বলা হয়েছে।
দলিলঃ হজরত ছাউবান (রাঃ) বলেন, রাসূলে পাক (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা মু‘মিনের অন্তর দৃষ্টিকে ভয় কর, নিশ্চয় তাঁরা আল্লাহর নুর দিয়ে দেখেন (তাফছিরে তাবারী শরিফ, ১৪তম খন্ড ৫০পৃঃ; তাফছিরে ইবনে কাছির, ২য় খন্ড, ৬৯২ পৃঃ; তাফছিরে দূর্রে মানছুর, ৪র্থ খন্ড, ১৯৫ পৃঃ; দ্বায়ফুজ জামে, ১৯৬; ঈমাম ছিয়তী (রঃ) এর “জামউছ ছাগীর” ১ম জিঃ ১৬পৃঃ; মাকাছিদুল হাছানা, ১৯ পৃঃ)।
এই হাদিসেও মু‘মিনে কামেল তথা আল্লাহর ওলীগণের অন্তর দৃষ্টিকে সমর্থন করা হয়েছে।
দলিলঃ হযরত আবু উমামা (রাঃ) নবী করিম (সাঃ) হতে বর্ণনা করেন, প্রিয় নবীজি বলেনঃ তোমরা মু‘মিনের অন্তর দৃষ্টিকে ভয় কর, নিশ্চয় তাঁরা আল্লাহর নূর দ্বারা দেখেন (তাবারানী তাঁর ‘আওছাতে, ২য় খন্ড, ২৭১ পৃঃ; তাবারানী তাঁর মুজামুল কাবিরে ৮/১০২; তাফছিরে কবির শরিফ, ১ম জিঃ ১২৭ পৃঃ; জামউছ ছাগীর, ১ম জিঃ ১৩ পৃঃ)
সর্বোপরি মু‘মিনে কামেল তথা আল্লাহর ওলীগণ অন্তর দৃষ্টি সৃষ্টি জগতের যে কোন কিছু অবলোকন করতে পারে। কারণ তাঁদের চোখে আল্লাহর নূর বিরাজ করে, এবং তাঁদের চোখ আল্লাহর মনোনীত চোখ হয়ে যায়। যেমনঃ হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলে পাক (সাঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘লা বলেনঃ যারা আমার ওলীদের সাথে দুশমনী করবে আমি তার সাথে জেহাদ ঘোষণা করলাম।..... যখন আমি তাঁকে ভালবাসতে শুরু করি তখন আমি তাঁর কান হয়ে যাই যা দ্বারা সে শুনে, আমি তাঁর চোখ হয়ে যাই যা দ্বারা সে দেখে...... (সহি বুখারী, ২য় খন্ড, ৯৬৩ পৃঃ; সহি ইবনে হিব্বান, ১ম জিঃ ২১০ পৃঃ তাফছিরে রুহুল বয়ান, ২য় খন্ড, ৪৪৯ পৃঃ; তাফছিরে কবির শরিফ: ইবনে মাজাহ, ২৯৬পৃঃ (আংশিক); তাফছিরে রুহুল মায়ানী, ১১ তম খন্ড ১৯২ পৃঃ)।
এই হাদিস দ্বারা বুঝা যায়, আল্লাহর ওলীগণের চোখ হল স্বয়ং আল্লাহ তা‘লা আর্থাৎ তাঁদের চোখ আল্লাহর মনোনিত চোখ হয়ে যায়, ফলে আল্লাহতা‘লা ঐ চোখে নুর দান করেন। তাই তাঁরা আল্লাহর নুর দ্বারা যা খুশি দেখতে পারে।
দলিলঃ হজরত আনাছ (রাঃ)বর্ণনা করেন, রাসূলে পাক (সাঃ) রাস্তায় অতিক্রমকালে যখন হারেছ (রাঃ) এর সাথে মিলিত হল, তখন নবীজি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার ভোর বেলা কেমন হল হে হারেছ? হারেছ (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহর কসম! আজকের ভোর বেলা আমার সত্যিকারের ঈমানের সাথে হয়েছে। নবীজি বলেনঃ তুমি লক্ষ্য কর যা তুমি বলছ। কারণ সব হাকিকতেরও হাকিকত রয়েছে, তোমার ঈমানের হাকিকত কি? হারেছ (রাঃ) বলেনঃ আমি যেন আল্লাহর আরশে আল্লাহকে দেখতে পাই, আমি যেন জান্নাতের ভিতরে জান্নাতীদের একে অপরের সাথে কথা বলতে দেখি ও জাহান্নামীদের যন্ত্রনার ছটফট করতে দেখি (তাফছিরে কবির শরিফ, ১ম জিঃ ১২৭ পৃঃ; তাবারানী তাঁর কবিরে; ‘মজমুয়ায়ে জাওয়ায়েদ’-৫৭/১; মুসনাদে বাজ্জার; জামউছ ছাগীর; ফেকহে আকবার; জামেউল মাছানেদউ ওয়াছ ছুনান, ২১তম খন্ড, ৫৯৩১ পৃঃ; মুসনাদে আবী ইয়ালা)।
দলিলঃ হজরত ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, একবার হজরত উমর (রাঃ) একদল সৈন্য অভিযানে প্রেরণ করেন। ‘ছারিয়া’ নামক এক ব্যক্তিকে সেই দলের সেনাপতি নিযুক্ত করেন। একদিন হজরত উমর (রাঃ) মসজিদে নববীতে খুতবা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনি খুতবার মাঝখানে খুব উচ্চস্বরে বলে উঠলেন ‘ইয়া ছারিয়া আল জাবাল” এই ঘটনার কয়েকদিন পরে উক্ত সেনাদলের তরফ থেকে একজন বার্তাবাহ মদিনায় আগমন করেন, সে বললঃ হে আমিরুল মু‘মেনীন! আমরা শত্রুদের সম্মুখীন হলে তারা আমাদের পরাস্থ করে। এমন সময় জনৈক ঘোষনাকারীর ‘‘ইয়া ছারিয়া আল জাবাল” উচ্চ শব্দ শুনতে পাই, তখন তখনই আমরা পাহাড়টিকে পশ্চাতে রেখে শত্রুর মোকাবেলা করতে থাকি। অবশেষে আল্লাহতা‘লা তাদেরকে পরাস্থ করেন (বায়হাক্বীর দালায়েলুন্নবুয়াত, ৩৭০/৬; মেসকাত ৫৪৬পৃঃ; মেরকাত, ১১ তম খন্ড, ৯৯পৃঃ; আশিয়াতুল লুমআত; মেরআতুল মানাজিহ)।
এই হাদিস দ্বারা প্রমান হয়, বহু দুরেও যদি কোন কিছু হয়, আল্লাহর ওলীগণ আল্লাহর নূর দ্বারা তা দেখতে পায়, পাশাপাশি তাঁদের জবানের আওয়াজও বহু দূরে পৌছাতে পারে।
ফকিহ্গণের ভাষ্যঃ
দলিলঃ নিশ্চয় পবিত্র আত্মার অধিকারী যারা ইন্তেকালের পরে তাঁদের রুহ উপরের জগতে মিশে যায়। তখন তাঁদের সামনে কোন পর্দা থাকেনা, ফলে তাঁরা (সৃষ্টি জগতের) সব কিছু দেখতে পায় (মেরকাত শরহে মেসকাত, ৩য় খন্ড, ১১ পৃঃ)।
সুতরাং ‘নফছে মুতমাইন্নাহ’ স্তরের তথা পবিত্র আত্মার অধিকারী আল্লাহর ওলীগণ ইন্তেকালের পরেও সব কিছু দেখতে পান।
দলিলঃ নিশ্চয় আল্লাহ তাঁদের (ওলীগণের) রুহকে দেহের মত শক্তি দান করেন, ফলে তাঁরা পৃথিবী আসমান ও জান্নাতের যত্র-তত্র যাইতে পারেন (তাফছিরে মাজহারী, ১ম খন্ড, ১৬৯ পৃঃ)।
সুতরাং আল্লাহর বন্ধুগণ ইন্তেকালের পরেও নুরের দেহ দ্বারা সৃষ্টি জগতের যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারেন। ঐ নুরের দেহকে ত্বরিকতের ভাষায় ‘ওজুদ মাহুব লাহু’ বা ‘তেফলুল মায়ানী’ বলা হয়।
দলিলঃ রাসূলে পাক (সাঃ) সাহাবীগণের রুহসমূহ সঙ্গে নিয়ে জগত সমূহে ভ্রমন করেন, এ অবস্থায় অনেক আউলিয়াগণ দেখেছেন (তাফছিরে রুহুল বয়ান, ১০ম খন্ড, ১১৩পৃঃ)।
সুতরাং প্রিয় নবীজি (সাঃ) ও সাহাবীগণ ভূ-মন্ডলে সফর করেন, সাধারণ মানুষ কেউ দেখতে পায়না অথচ আল্লাহর ওলীগণ তা দেখতে পান।
আরেকটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, সাহাবীগণ নবীর উম্মত, অথচ নবীজির সাথে সফর করেন। তাহলে বুঝা যায়, রাসূল (সাঃ)এর উম্মতও সৃষ্ট জগতে সফর করতে পারেন।
তাই বলা যায়, আল্লাহর ওলীগণ জীবদ্দশায় ও ইন্তেকালের পরেও আল্লাহর মনোনিত চোখ হওয়ার কারণে তাঁদের চোখে আল্লাহর নূর বিরাজ করে। ফলে তাঁরা সৃষ্টি জগতের সব কিছু দেখতে পায়।
অনলাইন থেকে ইনকাম করুন বিনা ইনভেষ্টেঃ বিস্তারিত জানুন
পবিত্র কোরআনের আলোকেঃ
মহান আল্লাহতা’লা বলেনঃ “ইন্না ফী যালিকা লা আ-ইয়া-তিল্ লিল্ মুতাওয়াচ্ছেমীন।” নিশ্চয় এতে গভীর দৃষ্টিশীলদের জন্যে রয়েছে নিদর্শন (সূরা হিজরঃ ৭৫ নং আয়াত)
এই আয়াতে (লিল্মুতাঅস্সিমীন)বলতে আল্লাহর ওলীগণের অন্তরদৃষ্টিকে বুজানো হয়েছে। যেমনঃ
দলিলঃ হজরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন লোক। হজরত মুজাহিদ (রাঃ) বলেন আর্ন্তদৃষ্টি সম্পন্ন লোক (তাফছিরে মায়ালেমু তানজিল, ৩য় খন্ড ২৩৯ পৃঃ; তাফছিরে খাজেন, ৩য় খন্ড ৬০পৃঃ; তাফছিরে রুহুল মায়ানী, ১৪ তম খন্ড ৪২৮ পৃঃ; তাফছিরে তাবারী শরিফ, ১৪ তম খন্ড ৫০ পৃঃ; তাফছিরে কবির, ১৯ তম খন্ড ১৬৮ পৃঃ; তাফছিরে ইবনে আব্বাস ২য় খন্ড তাফছিরে মাজহারী, ৫ম খন্ড ১৭২ পৃঃ; জালালাইন শরিফ, ২১৪ পৃঃ; ইবরে কাছির ,২য় খন্ড ,৬৯২পৃঃ; তাফছিরে দূর্রে মারছুর, ৪র্থ খন্ড , ১৯৪ পৃঃ;)
সুতরাং, এই আয়াতের সহজ অনুবাদ হবেঃ আর্ন্তদৃষ্টি সম্পন্ন লোকদের জন্যে রয়েছে নিদর্শন।
তাফছিরে রুহুল মায়ানীতে আরোও উল্লেখে আছেঃ বিশিষ্ট সাহাবী হজরত জাফর ইবরে মুহাম্মদ (রাঃ) বলেনঃ (মুতাঅস্সিমীন) হলঃ অন্তরদৃষ্টি সম্পন্ন লোক (রুহুল মায়ানী, ১৪তম খন্ড, ৪২৮পৃঃ)।
এ ব্যাপারে আরোও উল্লেখ আছেঃ হজরত উবাইদ (রঃ)বলেন, এই আয়াতের ব্যাপারে আমি দ্বাহ্হাক (রঃ) কে বলতে শ্তনেছি (লিল মুতাওয়াচ্ছেমীন) হল দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন লোক(তাফছিরে তাবারী শরিফ, ১৪ তম খন্ড ৫৬০পৃঃ তাফছিরে কুরতবী, ১০ম খন্ড ৩৪পৃঃ)।
এ ব্যাপারে আরোও উল্লেখ আছেঃ হজরত আবু উবায়দা (রাঃ) বলেনঃ (লিল মুতাঅস্সিমীন) হলঃ চক্ষুস্মান ব্যক্তি (তাফছিরে কুরতবী, ১০ম খন্ড ৩৪পৃঃ )অন্তরদৃষ্টিকেই বলা হয় চক্ষুস্মান।
সুতরাং, পবিত্র কোরআন আল্লাহর নেক বান্দাগনের অন্তরদৃষ্টি স্বীকার করে। (লিল মুতাঅস্সিমীন গভীর চিন্তাশীল ও অন্তরদৃষ্টি সম্পন্ন লোক, যারা তাঁদের দৃষ্টিশক্তি দ্বারা চিহ্নিত করতে পারে এমনকি নিদর্শন দেখে প্রত্যেক বস্তর হাকিকত জানতে পারে (তাফছিরে আবু ছাউদ, ৪র্থ খন্ড , ৩০৭ পৃঃ; তাফছিরে রুহুর বয়ান, ৪র্থ খন্ড, ৫৮৯ পৃঃ)।
সুতরাং আল্লাহর ওলীগণ অন্তরদৃষ্টি দ্বারা সৃষ্টি জগতের যেকোন অবস্থা দেখতে পায় ও হাকিকতের জ্ঞানী হতে পারেন। হজরত আবু ছাইদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলে পাক (ছাল্রাল্লাহু আরায়হি ওয়া ছাল্লাম ) বলেছেনঃ তোমরা মু’মিনের অন্তরদৃষ্টিকে ভয় কর,নিশ্চয় তারা আল্লাহর নুর দিয়ে দেখেন ( জামে তিরমিজি শরিফ ২য় খন্ড ১৪৫ পৃঃ; তাফছিরে কাবির শরিফ, ১ম খন্ড , ১২৭ পৃঃ; ২৩ তম, খন্ড, ১৪৫পৃঃ; তাফছিরে রুহুল বয়ান ১ম খন্ড ৩৯ পৃঃ; ৪র্থ খন্ড ৫৯০ পৃঃ; ২য় খন্ড ৪৫৫ পৃঃ; তাবারানী তাঁর আওছাদে ২য় খন্ড ২৭১ পৃঃ; ও ৬ষ্ঠ খন্ড, ১৯ পৃঃ; (সনদঃ হাছান) তাবারানী তাঁর “ কবিরে ( ১০২/৮) হাঃ ৭৪৯৪;মজমুয়ায়ে জাওয়াহেদ’ (২৭১/১০) ছেররুল আছরার, [কৃতঃহুজুর গাউছে পাক আব্দুল কাদের জিলানী (রাঃ)]১২২ পৃঃ; আলবেদায়া ওয়ান নেহায়া , ২য় খন্ড , ৪০৯ পৃঃ; তাফছিরে কুরতবী, ১০ ম খন্ড , ৩৪ পৃঃ; নাওয়াদেদরুল উছুল, ২৭১ নং হাঃ; থাফছিরে কুরতবী, ১৪ তম খন্ড , ৫০ পৃঃ; রুহুল মায়ানী, ১৪ তম খন্ড , ৪২৯ পৃঃ; তাফছিরে খাজেন, ৩য় খন্ড , ৬০পৃঃ; ইবনে কাছির, ২য় খন্ড ৬৯২ পৃঃ; সাবাছিদুল হাছানাহ, ১৯ পৃঃ; এহইযায়ে উলুমুদ্দিন, ৩য় খন্ড ৩২ পৃঃ; কাশফুল খফা, ১ম খন্ড ,৩৫ পৃঃ)।
এই হাদিস দ্বারা প্রমান হয়, মু‘মিনে কামেল তথা আল্লাহর ওলীগণ আল্লাহর নূর দিয়ে সব কিছু দেখতে পারেন।
দলিলঃ হযরত ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, রাসূলে করিম (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা মু‘মিনের অন্তর দৃষ্টিকে ভয় কর, নিশ্চয় মু‘মিন আল্লাহর নূর দিয়ে দেখেন (তাফছিরে ইবনে কাছির, ২য় খন্ড ৬৯২পৃ; তাফছিরে তাবারী শরিফ, ১৪ তম খন্ড, ৫০পৃঃ,; আবু নুয়াইম তাঁর ‘হুলিয়াতে’ ৯৪/৪; তাফছিরে দূর্রে মানছুর, ৪র্থ খন্ড, ১৯৪ পৃঃ; দ্বায়ফুজ জামে,১২৭)।
এই হাদিসেও মু‘মিনে কামেলের অন্তর দৃষ্টির কথা বলা হয়েছে।
দলিলঃ হজরত ছাউবান (রাঃ) বলেন, রাসূলে পাক (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা মু‘মিনের অন্তর দৃষ্টিকে ভয় কর, নিশ্চয় তাঁরা আল্লাহর নুর দিয়ে দেখেন (তাফছিরে তাবারী শরিফ, ১৪তম খন্ড ৫০পৃঃ; তাফছিরে ইবনে কাছির, ২য় খন্ড, ৬৯২ পৃঃ; তাফছিরে দূর্রে মানছুর, ৪র্থ খন্ড, ১৯৫ পৃঃ; দ্বায়ফুজ জামে, ১৯৬; ঈমাম ছিয়তী (রঃ) এর “জামউছ ছাগীর” ১ম জিঃ ১৬পৃঃ; মাকাছিদুল হাছানা, ১৯ পৃঃ)।
এই হাদিসেও মু‘মিনে কামেল তথা আল্লাহর ওলীগণের অন্তর দৃষ্টিকে সমর্থন করা হয়েছে।
দলিলঃ হযরত আবু উমামা (রাঃ) নবী করিম (সাঃ) হতে বর্ণনা করেন, প্রিয় নবীজি বলেনঃ তোমরা মু‘মিনের অন্তর দৃষ্টিকে ভয় কর, নিশ্চয় তাঁরা আল্লাহর নূর দ্বারা দেখেন (তাবারানী তাঁর ‘আওছাতে, ২য় খন্ড, ২৭১ পৃঃ; তাবারানী তাঁর মুজামুল কাবিরে ৮/১০২; তাফছিরে কবির শরিফ, ১ম জিঃ ১২৭ পৃঃ; জামউছ ছাগীর, ১ম জিঃ ১৩ পৃঃ)
সর্বোপরি মু‘মিনে কামেল তথা আল্লাহর ওলীগণ অন্তর দৃষ্টি সৃষ্টি জগতের যে কোন কিছু অবলোকন করতে পারে। কারণ তাঁদের চোখে আল্লাহর নূর বিরাজ করে, এবং তাঁদের চোখ আল্লাহর মনোনীত চোখ হয়ে যায়। যেমনঃ হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলে পাক (সাঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘লা বলেনঃ যারা আমার ওলীদের সাথে দুশমনী করবে আমি তার সাথে জেহাদ ঘোষণা করলাম।..... যখন আমি তাঁকে ভালবাসতে শুরু করি তখন আমি তাঁর কান হয়ে যাই যা দ্বারা সে শুনে, আমি তাঁর চোখ হয়ে যাই যা দ্বারা সে দেখে...... (সহি বুখারী, ২য় খন্ড, ৯৬৩ পৃঃ; সহি ইবনে হিব্বান, ১ম জিঃ ২১০ পৃঃ তাফছিরে রুহুল বয়ান, ২য় খন্ড, ৪৪৯ পৃঃ; তাফছিরে কবির শরিফ: ইবনে মাজাহ, ২৯৬পৃঃ (আংশিক); তাফছিরে রুহুল মায়ানী, ১১ তম খন্ড ১৯২ পৃঃ)।
এই হাদিস দ্বারা বুঝা যায়, আল্লাহর ওলীগণের চোখ হল স্বয়ং আল্লাহ তা‘লা আর্থাৎ তাঁদের চোখ আল্লাহর মনোনিত চোখ হয়ে যায়, ফলে আল্লাহতা‘লা ঐ চোখে নুর দান করেন। তাই তাঁরা আল্লাহর নুর দ্বারা যা খুশি দেখতে পারে।
দলিলঃ হজরত আনাছ (রাঃ)বর্ণনা করেন, রাসূলে পাক (সাঃ) রাস্তায় অতিক্রমকালে যখন হারেছ (রাঃ) এর সাথে মিলিত হল, তখন নবীজি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার ভোর বেলা কেমন হল হে হারেছ? হারেছ (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহর কসম! আজকের ভোর বেলা আমার সত্যিকারের ঈমানের সাথে হয়েছে। নবীজি বলেনঃ তুমি লক্ষ্য কর যা তুমি বলছ। কারণ সব হাকিকতেরও হাকিকত রয়েছে, তোমার ঈমানের হাকিকত কি? হারেছ (রাঃ) বলেনঃ আমি যেন আল্লাহর আরশে আল্লাহকে দেখতে পাই, আমি যেন জান্নাতের ভিতরে জান্নাতীদের একে অপরের সাথে কথা বলতে দেখি ও জাহান্নামীদের যন্ত্রনার ছটফট করতে দেখি (তাফছিরে কবির শরিফ, ১ম জিঃ ১২৭ পৃঃ; তাবারানী তাঁর কবিরে; ‘মজমুয়ায়ে জাওয়ায়েদ’-৫৭/১; মুসনাদে বাজ্জার; জামউছ ছাগীর; ফেকহে আকবার; জামেউল মাছানেদউ ওয়াছ ছুনান, ২১তম খন্ড, ৫৯৩১ পৃঃ; মুসনাদে আবী ইয়ালা)।
দলিলঃ হজরত ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, একবার হজরত উমর (রাঃ) একদল সৈন্য অভিযানে প্রেরণ করেন। ‘ছারিয়া’ নামক এক ব্যক্তিকে সেই দলের সেনাপতি নিযুক্ত করেন। একদিন হজরত উমর (রাঃ) মসজিদে নববীতে খুতবা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনি খুতবার মাঝখানে খুব উচ্চস্বরে বলে উঠলেন ‘ইয়া ছারিয়া আল জাবাল” এই ঘটনার কয়েকদিন পরে উক্ত সেনাদলের তরফ থেকে একজন বার্তাবাহ মদিনায় আগমন করেন, সে বললঃ হে আমিরুল মু‘মেনীন! আমরা শত্রুদের সম্মুখীন হলে তারা আমাদের পরাস্থ করে। এমন সময় জনৈক ঘোষনাকারীর ‘‘ইয়া ছারিয়া আল জাবাল” উচ্চ শব্দ শুনতে পাই, তখন তখনই আমরা পাহাড়টিকে পশ্চাতে রেখে শত্রুর মোকাবেলা করতে থাকি। অবশেষে আল্লাহতা‘লা তাদেরকে পরাস্থ করেন (বায়হাক্বীর দালায়েলুন্নবুয়াত, ৩৭০/৬; মেসকাত ৫৪৬পৃঃ; মেরকাত, ১১ তম খন্ড, ৯৯পৃঃ; আশিয়াতুল লুমআত; মেরআতুল মানাজিহ)।
এই হাদিস দ্বারা প্রমান হয়, বহু দুরেও যদি কোন কিছু হয়, আল্লাহর ওলীগণ আল্লাহর নূর দ্বারা তা দেখতে পায়, পাশাপাশি তাঁদের জবানের আওয়াজও বহু দূরে পৌছাতে পারে।
ফকিহ্গণের ভাষ্যঃ
দলিলঃ নিশ্চয় পবিত্র আত্মার অধিকারী যারা ইন্তেকালের পরে তাঁদের রুহ উপরের জগতে মিশে যায়। তখন তাঁদের সামনে কোন পর্দা থাকেনা, ফলে তাঁরা (সৃষ্টি জগতের) সব কিছু দেখতে পায় (মেরকাত শরহে মেসকাত, ৩য় খন্ড, ১১ পৃঃ)।
সুতরাং ‘নফছে মুতমাইন্নাহ’ স্তরের তথা পবিত্র আত্মার অধিকারী আল্লাহর ওলীগণ ইন্তেকালের পরেও সব কিছু দেখতে পান।
দলিলঃ নিশ্চয় আল্লাহ তাঁদের (ওলীগণের) রুহকে দেহের মত শক্তি দান করেন, ফলে তাঁরা পৃথিবী আসমান ও জান্নাতের যত্র-তত্র যাইতে পারেন (তাফছিরে মাজহারী, ১ম খন্ড, ১৬৯ পৃঃ)।
সুতরাং আল্লাহর বন্ধুগণ ইন্তেকালের পরেও নুরের দেহ দ্বারা সৃষ্টি জগতের যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারেন। ঐ নুরের দেহকে ত্বরিকতের ভাষায় ‘ওজুদ মাহুব লাহু’ বা ‘তেফলুল মায়ানী’ বলা হয়।
দলিলঃ রাসূলে পাক (সাঃ) সাহাবীগণের রুহসমূহ সঙ্গে নিয়ে জগত সমূহে ভ্রমন করেন, এ অবস্থায় অনেক আউলিয়াগণ দেখেছেন (তাফছিরে রুহুল বয়ান, ১০ম খন্ড, ১১৩পৃঃ)।
সুতরাং প্রিয় নবীজি (সাঃ) ও সাহাবীগণ ভূ-মন্ডলে সফর করেন, সাধারণ মানুষ কেউ দেখতে পায়না অথচ আল্লাহর ওলীগণ তা দেখতে পান।
আরেকটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, সাহাবীগণ নবীর উম্মত, অথচ নবীজির সাথে সফর করেন। তাহলে বুঝা যায়, রাসূল (সাঃ)এর উম্মতও সৃষ্ট জগতে সফর করতে পারেন।
তাই বলা যায়, আল্লাহর ওলীগণ জীবদ্দশায় ও ইন্তেকালের পরেও আল্লাহর মনোনিত চোখ হওয়ার কারণে তাঁদের চোখে আল্লাহর নূর বিরাজ করে। ফলে তাঁরা সৃষ্টি জগতের সব কিছু দেখতে পায়।
অনলাইন থেকে ইনকাম করুন বিনা ইনভেষ্টেঃ বিস্তারিত জানুন
Tuesday, 15 March 2016
কওমিরা পীর মানার কারণ
আসকে কওমি থেকে বের হয়ে আসা পীরবাদী পীরেরা ব্যাবসার
উদ্দেশ্যে পীরই সেসসেলা মেনেনিয়েছে যা সর্বজন স্বীকৃত। আমার কথাটা হয়তো বা কেহ
স্বীকার করবেন না। কিন্তু কওমি মাদ্রাসার আয়ের বা ইনকামের উৎস কি? প্রতিটি কওমি
মাদ্রাসার জন্য একএকটা ইন্ডাষ্ট্রী আছে নাকি? অবশ্যই নেই। যদি না থাকে তাহলে তাদের
মাদ্রাসার ঘর,বইপত্র,বোর্ডিং,শিক্ষকদের বেতন ইত্যাদি খরচ কোথা থেকে আসে? তারপর
ছাত্র-ছাত্রীদের একসময় কোন বেতনাদি ছিল না। আর তাদের কথা মতে সকল শিক্ষার্থীরা তো
এতিম,মিসকিন,তথা বেওয়ারিশের মত কুড়ে পাওয়া । তাদের আবার বেতন আসে কোথাথেকে? তাহলে
শিক্ষকদের বেতনাদীসহ অন্যান্য খরচ কোথাথেকে আসে? অবশ্যই
দান-সদকা,যাকাত,ফেতরা,কোরবানীর চামড়া,মুষ্টি চাঁদা ইত্যাদি এসব তাদের আয়ের উৎস।
সেই সাথে পীর মাশায়েখ অগ্রাহ্য করার পর যখন কোরানের ভাষায় ওলী,আওলীয়া, মুর্শিদ, ও
ইমাম শব্দগুলো দেখল,তখন টনখ নড়ল,এগুলো কি?এর ভাব কি? এর দিকনির্দেশনা কি?যখন
বিভিন্ন মুফাচ্ছিরীনে কিরাম এই শব্দ সমুহের শেষ স্তরেনায়েবে নবি প্রমান করলেন,তখন
ধীরেধীরে হক্কানি পিরের নামে আরেকটা ব্যবসার উৎস খুলে নিলেন।প্রকৃত পীরের পথ বা
সংঙা তারা যানে না।
প্রয়াত পীর মাওলানা ফজলুল করিম সাহেব বলেছিলেনঃ আটরশির
পির যদি তাহার আস্তান থেকে বের হতে পারেন,তাহলে আমি আমার মুরিদানসহ মুরিদ হব। তাতে
প্রমান করে তাহাদের ভাষায় পীর হতে হলে বাড়িবাড়ি গিয়ে টাকার বিনিময়ে ওয়াজ বা
তাবলীগকরতে হবে এবং মাদ্রাসা এতিম খানাসহ বিভিন্ন প্রকারের চাঁদা উঠাতে হবে। আর
তারই পীরগিরি।
এই পীর ব্যবসার চান্দার নামে টাকার পাহাড় তৈরি করার পর
ঐটাকা দিয়ে পীরের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে খলিফা হয়ার বা খলিফা করার জন্য আত্ন কলোহ করে
তুলকালাম কান্ড ঘটিয়ে দেওয়ার নাম পীরগিরি।তথকোথীত(তাদের ভাষায়)হক্কানী
ওলামায়েকেরামেরা এর নাম পীরগিরি দিয়েছেন বলে তাদের উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের বাস্তবে
তাই প্রমাণ করে।ইহা তাহাদের বোল এবং বোল পাল্টানোর কর্মকাণ্ডের প্রমানও করে। কেননা
ভাই ভাই খলিফা হওয়ার বা খলিফা করার জন্য আত্নকলহ নেই এ রকম দরবার অর্থাৎ
তাহাদের রীতি মোতাবেক সেলসেলার দরবার খুবই
বিরল।এক মাত্র বিশ্ব জাকের মঞ্জিল পাক দরবার শরিফে এই দ্বন্ধ নেই। কেন থাকবে ?
সেখানে তো বাড়িবাড়ি যাওয়ার আর তাবলীগের নামে,ওয়াজের নামে,চাঁন্দা উঠানোর
প্রথানেই।রিজিকের মালিক আল্লাহ এই ইমানেও তাহাদের কমতি নেই। এখন পীরগিরির নামে
যারা চাঁদা তোলে,দেশে বিদেশে তথা রমজান মাসে এতেকাফের নামে মক্কা শরিফ গিয়ে যাকাত
ফেতরা বা চাঁদা তোলা তাহাদের মত হক্কানির ভাষায় তারাই হক্কানী পীর। প্রকৃত বাস্তবে
ইহারা পীর নয়। বরং পেশাদার পীর। পীর মাওলানা ফজলুল করিম সাহেব সেই পেশার পীর । এই
পেশাদারীত্ব তাহার ছিল না,তা বলার উপায় নেই।যেহেতু ইহা শতসিদ্ব বাস্তবতা।এই যদি হয়
পীরের কর্মকাণ্ড তাহলে প্রকৃত খাটি পীরের সংজ্ঞা তারা যানে না,তা সম্পূর্ণ
ভদ্রোচিত ভাষায় বলা হল। তাহাদের হক্কানীরা
উপারের লেফাফা দরুস্ত। আর এই লেফাফা দরুস্ত না হলে যেমন চাঁদা তোলা যাবেনা তেমনি
অন্য লোকের চোখে ধাঁধা লাগানো যাবে না।
তারা রাসুলে পাক(সাঃ)এর বাহ্যিক সুন্নাতের লেবাসদিয়ে যা
করে প্রক্রিত্র ওলীয়াল্লাহগনের তা অজানা নয়।যারা তাদের মত বাহ্যিক লেফাফা দুরুস্ত
সুন্নাত পালন করেনা। তারা কেহ তাহাদের মত
চাঁদা তোলেনা। অপরের ছিদ্রান্বেষণ করেনা, ফেতনা করেনা, মিথ্যা বলেনা,গিবত
বলেনা,বাৎসরিক ওয়াজের নামে মাদ্রাসা, এতিম খানা, ও লিল্লাহ বোর্ডিংএর নামে চাঁদা
তোলেনা, মিলাদ বেদায়াত বলেনা,দুরুদের নামে দোয়া করে টাকা খায়না,টাকা ইনকামের নামে
দোয়া,তাবিজ,যারফুক দিয়ে টাকা কামায় করে,রমজাননাআসলে ধোনিদের কাছে যাকাত তোলার জন্য
রশিদ বই নিয়ে তোসামদি করেনা। এগুলো যারা করে,তারাকি আসোলেই ইমানদার ? খাজাবাবা
ফরিদপুরি কেবলাজান এর একটিও করেনি।তিনি খাটি পীর নয় যে হক্কানীরা বলেছেন,তার
বর্ণিত কাজ গুলো যারা সর্বদাকরে যাচ্ছে,তাহদেরকে যে হক্কানিরা খাটি পীর বলে
চলছেন,সে হক্কানীরা কারা? লেফাফা দুরুস্ত পীরেরা, কওমি আলেমেরা, এবং শতকারা হারে
চাঁদা তোলে যারা তারা কারা? ইহায় কি ইসলাম। ইসলামকে চাঁদা মার্কাইসলাম বানিয়েছেন
যারা, তারা আবার হক্কানী!হায়রে হক্কানীরা –।তাই
বলেছি তারা কামেল পীরের সংজ্ঞা যানেনা। এমনকি বুঝেও বুঝেনা।কেন না তারা
স্বার্থান্ধ। কামেল পীরের প্রথম কথা,সে প্রথমে সর্বাবস্থায় স্বীকার করবে রিজেকের
মালিক আল্লাহ ।ইজ্জতের মালিক আল্লাহ। হেদায়াতের মালিক আল্লাহ।এই হেদায়াতের পথ
প্রদর্শক রাসুল(সাঃ) আল্লাহ নয়। কিন্তু আল্লাহ থেকে রাসুল (সাঃ) যুদাও নয়। যার
জন্য যে কোন পীর মাশায়েখ,আলেম ওলামা বিনা মতানৈক্যস্বীকার করতে বাধ্য যে, যে কোন
দোয়া কবুল হবেনা,যতখন পর্যন্ত রাসুল(সাঃ) এর শানে দুরুদ পড়া না হবে। অতএব দোয়া
কবুলিয়াতের শর্ত দুরুদ। আর এই দুরুদ হল রাসুলে পাক (সাঃ)এর গুনগান ও তাঁহার জন্য
প্রার্থনা।অতএব রাসুলে পাক (সাঃ)ব্যতীত আল্লাহ পাওয়া যাবে না। এবং তাহার মহব্বতই
প্রকৃত ঈমান।
Labels:
কাওমি,
পীর,
লিল্লাহ বোর্ডিং
Location:
Faridpur, Bangladesh
নবীজি (সাঃ) নূরের তৈরি।
প্রমানঃ তোমাদের নিকট আল্লাহতায়ালার নূর এসেছেন আল্লাহতায়ালার প্রদত্ত কিতাব নিয়ে। (সূরা মায়েদা-১৫)।
২. নবীজি (সাঃ) গায়েব জানতেন। প্রমানঃ তিনি (নবীজি) গায়েব প্রকাশ করতে কৃপনতা করেন না। (সূরা তাকভীর-২৩)।
৩. নবীজি (সাঃ) হাজির নাজির।
প্রমানঃ "হে অদৃশ্যের সংবাদদাতা নবী, নিশ্চয় আমি আপনাকে প্রেরন করেছি উপস্থিত পর্যবেক্ষনকারী (হাজির-নাজির) করে, সুসংবাদদাতা এবং সতর্ককারী রূপে"। (সূরা আহযাব-৪৫)।
৪. মিলাদ কিয়াম জায়েয।
প্রমানঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তার ফেরেশতাগনসহ নবীর প্রতি দরূদ ও সালাম প্রেরন করছেন।
হে মুমিনগন! তোমরাও তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ কর। (সূরা-আহযাব-৫৬)।
#(মিলাদ কিয়ামে নবীজি (সাঃ) এর উদ্দেশ্যে দরূদ ও সালামই পেশ করা হয়।)
৫. ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) মানা জায়েয।
প্রমানঃ "হাবীব আপনি বলে দিন, আল্লাহ প্রদত্ত ফজল ও রহমত প্রাপ্তিতে তোমাদের উচিত আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করা, তোমরা যা পুঁজি কর ইহা তদপেক্ষা উত্তম।" (সুরা ইউনুসের-৫৮।)
"হাবীব আমি আপনাকে সমগ্র জগত সমূহের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করিয়াছি।" (সুরা আম্বিয়ার ১০৭)।
#(সূরা আম্বিয়ার ১০৭নং অনুযায়ি নবীজি যেহেতু রহমত সরূপ আর সূরা ইউনুস ৫৮ নং হিসেবে রহমত প্রাপ্তিতে আনন্দ উল্লাস করতে আল্লাহ বলতেছেন তাহলে নূর নবীজি (সাঃ) যেদিন পৃথিবীতে আগমন হয়েছেন রহমতসরূপ হয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) দিন, সেদিন মুসলিমদের কোরআনের আয়াত অনুযায়ি আনন্দ করা নবীজির গুনজায়িশ করার অনুষ্ঠান করা ১০০% সঠিক।)
৬. নবীজি (সাঃ) হায়াতুন্নবী (জীবিত)।
প্রমানঃ "হে অদৃশ্যের সংবাদদাতা নবী, নিশ্চয় আমি আপনাকে প্রেরন করেছি উপস্থিত পর্যবেক্ষনকারী (হাজির-নাজির) করে, সুসংবাদদাতা এবং সতর্ককারী রূপে"। (সূরা আহযাব-৪৫)।
ও আল্লাহ আরো বলেন-
আমি কেয়ামতের দিন প্রত্যেক উম্মতের জন্য সাক্ষীরূপে তাদের মধ্য হতে একজনকে দাঁড় করাবো। আর আপনাকে (হে নবী) উহাদের সকলের সাক্ষীদাতারূপে আনয়ন করব। (সূরা আন নাহল-৮৯)।
#(নবীজি (সাঃ) যদি সকলের প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীদাতা হয় তাহলে তিনি অবশ্যই আমাদের দেখছেন সবসময় তাহলে অবশ্যই নূর নবীজি (সাঃ) স্বশরীরে জীবিত।)
প্রমানঃ "হে অদৃশ্যের সংবাদদাতা নবী, নিশ্চয় আমি আপনাকে প্রেরন করেছি উপস্থিত পর্যবেক্ষনকারী (হাজির-নাজির) করে, সুসংবাদদাতা এবং সতর্ককারী রূপে"। (সূরা আহযাব-৪৫)।
৪. মিলাদ কিয়াম জায়েয।
প্রমানঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তার ফেরেশতাগনসহ নবীর প্রতি দরূদ ও সালাম প্রেরন করছেন।
হে মুমিনগন! তোমরাও তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ কর। (সূরা-আহযাব-৫৬)।
#(মিলাদ কিয়ামে নবীজি (সাঃ) এর উদ্দেশ্যে দরূদ ও সালামই পেশ করা হয়।)
৫. ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) মানা জায়েয।
প্রমানঃ "হাবীব আপনি বলে দিন, আল্লাহ প্রদত্ত ফজল ও রহমত প্রাপ্তিতে তোমাদের উচিত আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করা, তোমরা যা পুঁজি কর ইহা তদপেক্ষা উত্তম।" (সুরা ইউনুসের-৫৮।)
"হাবীব আমি আপনাকে সমগ্র জগত সমূহের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করিয়াছি।" (সুরা আম্বিয়ার ১০৭)।
#(সূরা আম্বিয়ার ১০৭নং অনুযায়ি নবীজি যেহেতু রহমত সরূপ আর সূরা ইউনুস ৫৮ নং হিসেবে রহমত প্রাপ্তিতে আনন্দ উল্লাস করতে আল্লাহ বলতেছেন তাহলে নূর নবীজি (সাঃ) যেদিন পৃথিবীতে আগমন হয়েছেন রহমতসরূপ হয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) দিন, সেদিন মুসলিমদের কোরআনের আয়াত অনুযায়ি আনন্দ করা নবীজির গুনজায়িশ করার অনুষ্ঠান করা ১০০% সঠিক।)
৬. নবীজি (সাঃ) হায়াতুন্নবী (জীবিত)।
প্রমানঃ "হে অদৃশ্যের সংবাদদাতা নবী, নিশ্চয় আমি আপনাকে প্রেরন করেছি উপস্থিত পর্যবেক্ষনকারী (হাজির-নাজির) করে, সুসংবাদদাতা এবং সতর্ককারী রূপে"। (সূরা আহযাব-৪৫)।
ও আল্লাহ আরো বলেন-
আমি কেয়ামতের দিন প্রত্যেক উম্মতের জন্য সাক্ষীরূপে তাদের মধ্য হতে একজনকে দাঁড় করাবো। আর আপনাকে (হে নবী) উহাদের সকলের সাক্ষীদাতারূপে আনয়ন করব। (সূরা আন নাহল-৮৯)।
#(নবীজি (সাঃ) যদি সকলের প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীদাতা হয় তাহলে তিনি অবশ্যই আমাদের দেখছেন সবসময় তাহলে অবশ্যই নূর নবীজি (সাঃ) স্বশরীরে জীবিত।)
Location:
Faridpur, Bangladesh
Friday, 11 March 2016
মসজিদের হক কি???
আমাদের
মসজিদগুলো কি মক্কা মসজিদে হারাম,মদীনার মসজিদে নববী এবং জেরুজালেমের মসজিদে আকসা
কিংবা পরবর্তীতে সাহাবায়ে কেরামের প্রতিষ্ঠিত মসজিদগুলোর অনুরূপ ভূমিকা পালন
করছে?? ঐসকল মসজিদগুলোর ভূমিকা কি ছিল?আমাদের সমাজের মসজিদ্দের সাথে ঐসকল মসজিদের
পার্থক্য কি?
আমাদের
সমাজে মসজিদ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কি?? উত্তরে হয়তো বলবেন আমারা এখানে মসজিদ দিবো
এই জন্য যে,আমাদের এখানে তাবলীগের মারকাজ হবে। এখানে দেশ- বিদেশ থেকে তাবলীগ নিয়ে
মানূষ আসবে । মসজিদ দেওয়ার উদ্দেশ্য আসলেই কি তাই ছি রাসুল(সাঃ)এর সময় বা
সাহাবাদের সময়?? এক মসজিদে নববীই গোটা দুনিয়ায় কল্যাণ ও সমৃদ্ধির বণ্যায় ভরিয়ে
দিয়েছিল। অথচ আজ আমাদের বাংলাদেশে আড়াইলাখ মসজিদসহ সারাবিশ্বে ৫০টিরও বেশি মুসলিম
রাষ্ট্রে এবং অন্যান্য দেশে প্রায় ১ কোটি
মসজিদ রয়েছে! কিন্তু সেগুলো নির্জীব ও প্রভাবহীন। এসগুলো আলোর খনি হওয়া সত্ত্বেও
দুনিয়া আজ অন্ধকারে দুবে আছে।এই মসজিদ গুলো মসজিদের নববী মত ভূমিকা পালন করলে
আবারও দুনিয়া থেকে জাহেলিয়াতকে লাথি মেরে
সোনালি ঊষার ঝলমলে রঙ্গিল উঠানে মুসলিম জনতা দারাতে পারতো। কিন্তু আজ সমাজ শুধু
মাত্র তাবলীগের মারকাহজ বা তাবলীগ প্রচারের উদ্দেশ্য মসজিদ তৈরি করে আল্লাহর ঘরকে
অসম্মান করার কারোনে আজ আমাদের এই অবস্থা। এই জন্য আমরাই দায়ি।
হাদিস
শরিফে এসেছেঃ যে আল্লাহ্র উদ্দেশ্য একটি মসজিদ তৈরি ক্রে,আল্লাহ বেহেস্তে তার
জন্য একটি ঘর তৈরি করেন।(তাবরানী)রাসুল (সাঃ)বলেছেনঃআল্লাহ বলেন, মসজিদগুলো জমিনে
আমার ঘর। সেগুলোতে ইবাদাতকারিরা আমারত যেয়ারতকারী। যে ব্যক্তি নিজ ঘরে পবিত্র ও
পরিচ্ছন্ন হয়ে আমার ঘরে এসে যেয়ারত করে,তার জন্য সুখবর; যেয়ারতকারি মেহমানকে
স্মমান করা মেজবানের দায়িক্ত ও কর্তব।
এই
হাদিসে মসজিদের গুরুপ্ত ও মর্যাদা কতবেশি,তা পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। হযরত উসমান
(রাঃ)বলেনঃ আমি রাসুল(সাঃ)কে বলতে শুনেছি,যে আল্লাহ্র উদ্দেশ্য একটি মসজিদ তৈরি
ক্রে,আল্লাহ বেহেস্তে তার জন্য একটি ঘর তৈরি করেন।(বুখারি ও মুসলিম)
আরো
এক হাদিসে এসেছেঃ যে ব্যক্তি লোক দেখানো কিংবা সুনাম অর্জনের উদ্দেশ্য ব্যতীত যে
একটি মসজিদ তৈরি ক্রে,আল্লাহ বেহেস্তে তার জন্য একটি ঘর তৈরি করেন।(তাবরানী)
আজ
আমাদের সমাজের মসজিদ তৈরি করা হচ্ছে কোন উদ্দেশ্য? আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য নাকি
এলাকা বা ব্যক্তির সুনামের জন্য??ইবাদতের জন্য হলে ছোট একটি গ্রামে ৩-৪ টি মসজিদ
দকারর হতো না। আমাদের সমাজের মসজিদগুলো যে,ব্যক্তির সুনাকের জন্য তৈরি হচ্ছে এটা
বুঝতে আমাদের বেশিকষ্ট করতে হবেনা।শুধু মসজিদের মিটিং কিংবা কোন অনুষ্ঠানে যদি
মসজিদ সভাপতিকে ডাক না দেওয়া হয় তাহলেই কাজ সাড়া! মহা ভারত এবার অশুদ্ধ হবেই
মসজিদের ইমান থাক না থাক উক্ত মিটিং এ সভাপতিকে ডাক দিতেই হবে। আর আমাদের সমাজে
মসজিদের ইমামগন হোল সবচেয়ে অবহেলিত ব্যক্তি।এরও একটা কারন অবশ্য আছে ।আমাদের দেশের
ইমামগন মসজিদে ইমামতি করার পাশাপাশি মহিলাদের কোরআন শিখানো চেষ্ঠা করেন
যা,একেবারেই অনুচিত।আপনি বলতে পারে কেন? ইমান সাহেব নিজের বোনের মত মনে করে যদি
কোরআন পড়া শিক্ষায় তাহলে সমস্য কি?
ঠিক
আছে যে মহিলা ইমাম সাহেবের বোনের মত তাকে বোন হিসাবেই পড়াবে,কিন্তু যে মহিলা ইমান
সাহেবের স্ত্রীর মত তাকে কি স্ত্রীর মত স্ত্রী মনে করে পড়াবে???তাহলে এর সুরাহা
কি??
সুরোহা
একটা অবশ্যই আছে তাহলো আপনি যখন আপনার ছেলের বিবাহের জন্য মেয়ে
দেখতে
যাবেন তখন আগে জানুন মেয়েটি কোরআন পড়তে যানে কিনা।কোরআন জানা একটা মেয়ে যদি আপনার
এলাকায় থাকে তাহলে সমস্যার সমাধান হয়ে গেল এলাকার মহিলারা ঐ কোরআন জানা মেয়েটি
কাছে গিয়ে শিখবে। এতে পর্দাও রক্ষা করা হবে।কোরআন শিক্ষাও হয়ে যাবে।
মসজিদ
এমন একটি স্থান যা পরিবারের পরেই ইসলামিক সমাজের দ্বিতীয় গুরুপ্তপূর্ণ ইউনিট।
এটাকে মুসলিম সমাজের সামষ্টিক কেন্দ্রও বলা যেতে পারে।মসজিদ থেকেই
ব্যক্তি,পরিবার,সমাজ ও রাষ্ট্রকে দিক নির্দেশ দিতে হবে।কিন্তু এই ভ্রাতৃত্ব
পূর্ণস্থান মসজিদ আর সমাজের জন্য ভাগ করা
হয়েছে,পার্টির জন্য ভাগ করা হয়েছে,মাজহাবের
জন্য ভাগ করায়েছে। অনেক মসজিদে তরিকা পন্থিদের নামাজের পরে তরীকার আমল করারও সময় দেওয়া হয়না। অথচ তরীকা
কিন্তু ইসলামের একটি অংশ।এই মসজিদে বসে এক ইমাম অন্য ইমামের গীবত করছে,এক হুজুর
অন্য হুজুরের গীবত করছে,আরেক শ্রেণির লোক আছে যারা মসজিদে বসে উচ্চস্বরেব দুনিয়াবি
আলোচনা করছে, মসজিদের মধ্য খানা খেয়ে,পানি ফেলে মসজিদ নোংরা করছে,রাসুল
(সাঃ)বলেছেনঃ তোমরা মসজিদে পেঁয়াজ খেয়ে প্রবেশ করোনা। অথচ এক শ্রেণী মসজিদে বসেই
পেঁয়াজ ক্লহাচ্ছে! তাই আমরা যতদিন মুসলিম জাতির এই সামষ্টিক কেন্দ্রকে ইজ্জত করতে
না পারব ততোদিন আমাদের উজ্জতও আল্লাহ দান করবেন না।
Subscribe to:
Posts (Atom)