Tuesday, 29 March 2016

জম জম কুপের ঐতিহাসিক পটভুমি



                               
যখন ইব্রাহিম (আঃ)এর বিবি এবং কচি শিশু ইসমাইল (আঃ)কঠিন পিপাসার কারনে জমিনের উপর উরু ছটফট করতে ছিলেন তখন আল্লাহ্‌র কুদরতে প্রস্তর ভুখন্ড থেকে পানির ফোয়ারা প্রবাহিত হতে লাগলো। পানির ফোয়ারা প্রবাহের তেজ দেখে সাইয়্যেদা হাজেরা (আঃ)কচি শিশু ইসমাইল (আঃ)এর ক্ষতি হতে পারে বা ডুবে যাওয়ার আশংকায় বলেনঃ জম জম (থেমে যাও)।  হাজেরা (আঃ)এর এ কথা বলার সাথে সাথে প্রবল তোড়ে প্রবাহমান পানি মনহর গতিতে প্রবাহিত হতে লাগলো। আর এ জন্যই ঐ কুয়ার নাম হয়েছে জম জম’। হাজার হাজার বছর অতিক্রিম হলেও আজ সেই কুয়ার নাম হয়েছে জম জম।শতসহ স্র বছর অতিক্রম হলে কি হবে,আজও সেই কুয়া প্রবাহমান অবস্থায় আছে এবং থাকবে। মক্কায় হজ্জে গমনকারীদের জন্য ইহা এক সবোকৃষ্ট তোহফা (হাদীয়াহ)। অতীব আদবের সাথে অজু অবস্থায় কেবলারোক হয়ে দন্ডায়মান অবস্থায় ঐ পানি পান করতে হয় । ঐ পানির এই খাছ হুকুম এ জন্য যে,ইহা আমাদের সর্দার হরযত ইব্রাহিম (আ:)এর বদৌলতে লাভ হয়েছে। আর এ জন্যই দুনিয়ার সকল পানি অপেক্ষা এই পানি ভিন্ন এক স্বত্নক্ত মর্তবা বহন করে ।এই পানির বরকতে কঠিন কঠিন রোগ আরোগ্য হয়।বর্ণিত আলোচনায় এ কথা হয় যে, ইসলামের মধ্যে কোন ঘটনাকে স্বরণীয় করে মান্য করাই শুধু বৈধ নয়; বরং বিভিন্ন আমলকে শরীয়তের চিরন্তন ও স্থায়ী অংগ  তৈরি করে তা সার্বক্ষণিক ভাবে আমলে পরিণত করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। মীলাদুন্নবী (সঃ)কে ঐ একই দৃষ্টি কোন থেকে আমাদের অবলোকন করতে হবে।কেননা হুজুর নবী আকরাম (সঃ)আল্লাহ্‌র রহমত।তার ফজল এবং তার সর্বাপেক্ষা বড় এহসান ও নেয়ামত এই যে,তাকে আল্লাহ্‌ তবারক তায়ালা মানব জাতির উপর মানবীয় রুপে প্রদান করেছেন। এই ফজল ও এহসানের উপর কৃতগতা প্রকাশের নিমিও মীলাদুন্নবী (সঃ)এর উৎসব করা হয়। যাতে অন্তর সমূহে রাসূলে পাক (সঃ)এর এশক মহব্বতের আকুলতা প্রজ্জলিত হয় এবং তার (সঃ)আনুগত্যের প্রতি উৎসাহ উদ্দীপ্না আরো জাগ্রত হয়।

No comments:

Post a Comment