Friday, 11 March 2016

মসজিদের হক কি???



http://i1230.photobucket.com/albums/ee492/Shanto_Balok/04-Zayed-4.jpg 






আমাদের মসজিদগুলো কি মক্কা মসজিদে হারাম,মদীনার মসজিদে নববী এবং জেরুজালেমের মসজিদে আকসা কিংবা পরবর্তীতে সাহাবায়ে কেরামের প্রতিষ্ঠিত মসজিদগুলোর অনুরূপ ভূমিকা পালন করছে?? ঐসকল মসজিদগুলোর ভূমিকা কি ছিল?আমাদের সমাজের মসজিদ্দের সাথে ঐসকল মসজিদের পার্থক্য কি?

আমাদের সমাজে মসজিদ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কি?? উত্তরে হয়তো বলবেন আমারা এখানে মসজিদ দিবো এই জন্য যে,আমাদের এখানে তাবলীগের মারকাজ হবে। এখানে দেশ- বিদেশ থেকে তাবলীগ নিয়ে মানূষ আসবে । মসজিদ দেওয়ার উদ্দেশ্য আসলেই কি তাই ছি রাসুল(সাঃ)এর সময় বা সাহাবাদের সময়?? এক মসজিদে নববীই গোটা দুনিয়ায় কল্যাণ ও সমৃদ্ধির বণ্যায় ভরিয়ে দিয়েছিল। অথচ আজ আমাদের বাংলাদেশে আড়াইলাখ মসজিদসহ সারাবিশ্বে ৫০টিরও বেশি মুসলিম রাষ্ট্রে  এবং অন্যান্য দেশে প্রায় ১ কোটি মসজিদ রয়েছে! কিন্তু সেগুলো নির্জীব ও প্রভাবহীন। এসগুলো আলোর খনি হওয়া সত্ত্বেও দুনিয়া আজ অন্ধকারে দুবে আছে।এই মসজিদ গুলো মসজিদের নববী মত ভূমিকা পালন করলে আবারও দুনিয়া থেকে  জাহেলিয়াতকে লাথি মেরে সোনালি ঊষার ঝলমলে রঙ্গিল উঠানে মুসলিম জনতা দারাতে পারতো। কিন্তু আজ সমাজ শুধু মাত্র তাবলীগের মারকাহজ বা তাবলীগ প্রচারের উদ্দেশ্য মসজিদ তৈরি করে আল্লাহর ঘরকে অসম্মান করার কারোনে আজ আমাদের এই অবস্থা। এই জন্য আমরাই দায়ি।

হাদিস শরিফে এসেছেঃ যে আল্লাহ্‌র উদ্দেশ্য একটি মসজিদ তৈরি ক্রে,আল্লাহ বেহেস্তে তার জন্য একটি ঘর তৈরি করেন।(তাবরানী)রাসুল (সাঃ)বলেছেনঃআল্লাহ বলেন, মসজিদগুলো জমিনে আমার ঘর। সেগুলোতে ইবাদাতকারিরা আমারত যেয়ারতকারী। যে ব্যক্তি নিজ ঘরে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন হয়ে আমার ঘরে এসে যেয়ারত করে,তার জন্য সুখবর; যেয়ারতকারি মেহমানকে স্মমান করা মেজবানের দায়িক্ত ও কর্তব।

এই হাদিসে মসজিদের গুরুপ্ত ও মর্যাদা কতবেশি,তা পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। হযরত উসমান (রাঃ)বলেনঃ আমি রাসুল(সাঃ)কে বলতে শুনেছি,যে আল্লাহ্‌র উদ্দেশ্য একটি মসজিদ তৈরি ক্রে,আল্লাহ বেহেস্তে তার জন্য একটি ঘর তৈরি করেন।(বুখারি ও মুসলিম)
আরো এক হাদিসে এসেছেঃ যে ব্যক্তি লোক দেখানো কিংবা সুনাম অর্জনের উদ্দেশ্য ব্যতীত যে একটি মসজিদ তৈরি ক্রে,আল্লাহ বেহেস্তে তার জন্য একটি ঘর তৈরি করেন।(তাবরানী)

আজ আমাদের সমাজের মসজিদ তৈরি করা হচ্ছে কোন উদ্দেশ্য? আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির জন্য নাকি এলাকা বা ব্যক্তির সুনামের জন্য??ইবাদতের জন্য হলে ছোট একটি গ্রামে ৩-৪ টি মসজিদ দকারর হতো না। আমাদের সমাজের মসজিদগুলো যে,ব্যক্তির সুনাকের জন্য তৈরি হচ্ছে এটা বুঝতে আমাদের বেশিকষ্ট করতে হবেনা।শুধু মসজিদের মিটিং কিংবা কোন অনুষ্ঠানে যদি মসজিদ সভাপতিকে ডাক না দেওয়া হয় তাহলেই কাজ সাড়া! মহা ভারত এবার অশুদ্ধ হবেই মসজিদের ইমান থাক না থাক উক্ত মিটিং এ সভাপতিকে ডাক দিতেই হবে। আর আমাদের সমাজে মসজিদের ইমামগন হোল সবচেয়ে অবহেলিত ব্যক্তি।এরও একটা কারন অবশ্য আছে ।আমাদের দেশের ইমামগন মসজিদে ইমামতি করার পাশাপাশি মহিলাদের কোরআন শিখানো চেষ্ঠা করেন যা,একেবারেই অনুচিত।আপনি বলতে পারে কেন? ইমান সাহেব নিজের বোনের মত মনে করে যদি কোরআন পড়া শিক্ষায় তাহলে সমস্য কি?

ঠিক আছে যে মহিলা ইমাম সাহেবের বোনের মত তাকে বোন হিসাবেই পড়াবে,কিন্তু যে মহিলা ইমান সাহেবের স্ত্রীর মত তাকে কি স্ত্রীর মত স্ত্রী মনে করে পড়াবে???তাহলে এর সুরাহা কি??

সুরোহা একটা অবশ্যই আছে তাহলো আপনি যখন আপনার ছেলের বিবাহের জন্য মেয়ে
দেখতে যাবেন তখন আগে জানুন মেয়েটি কোরআন পড়তে যানে কিনা।কোরআন জানা একটা মেয়ে যদি আপনার এলাকায় থাকে তাহলে সমস্যার সমাধান হয়ে গেল এলাকার মহিলারা ঐ কোরআন জানা মেয়েটি কাছে গিয়ে শিখবে। এতে পর্দাও রক্ষা করা হবে।কোরআন শিক্ষাও হয়ে যাবে।


মসজিদ এমন একটি স্থান যা পরিবারের পরেই ইসলামিক সমাজের দ্বিতীয় গুরুপ্তপূর্ণ ইউনিট। এটাকে মুসলিম সমাজের সামষ্টিক কেন্দ্রও বলা যেতে পারে।মসজিদ থেকেই ব্যক্তি,পরিবার,সমাজ ও রাষ্ট্রকে দিক নির্দেশ দিতে হবে।কিন্তু এই ভ্রাতৃত্ব পূর্ণস্থান মসজিদ আর সমাজের জন্য  ভাগ করা হয়েছে,পার্টির জন্য ভাগ করা হয়েছে,মাজহাবের  জন্য ভাগ করায়েছে। অনেক মসজিদে তরিকা পন্থিদের নামাজের পরে  তরীকার আমল করারও সময় দেওয়া হয়না। অথচ তরীকা কিন্তু ইসলামের একটি অংশ।এই মসজিদে বসে এক ইমাম অন্য ইমামের গীবত করছে,এক হুজুর অন্য হুজুরের গীবত করছে,আরেক শ্রেণির লোক আছে যারা মসজিদে বসে উচ্চস্বরেব দুনিয়াবি আলোচনা করছে, মসজিদের মধ্য খানা খেয়ে,পানি ফেলে মসজিদ নোংরা করছে,রাসুল (সাঃ)বলেছেনঃ তোমরা মসজিদে পেঁয়াজ খেয়ে প্রবেশ করোনা। অথচ এক শ্রেণী মসজিদে বসেই পেঁয়াজ ক্লহাচ্ছে! তাই আমরা যতদিন মুসলিম জাতির এই সামষ্টিক কেন্দ্রকে ইজ্জত করতে না পারব ততোদিন আমাদের উজ্জতও আল্লাহ দান করবেন না।   




    

No comments:

Post a Comment