আসকে কওমি থেকে বের হয়ে আসা পীরবাদী পীরেরা ব্যাবসার
উদ্দেশ্যে পীরই সেসসেলা মেনেনিয়েছে যা সর্বজন স্বীকৃত। আমার কথাটা হয়তো বা কেহ
স্বীকার করবেন না। কিন্তু কওমি মাদ্রাসার আয়ের বা ইনকামের উৎস কি? প্রতিটি কওমি
মাদ্রাসার জন্য একএকটা ইন্ডাষ্ট্রী আছে নাকি? অবশ্যই নেই। যদি না থাকে তাহলে তাদের
মাদ্রাসার ঘর,বইপত্র,বোর্ডিং,শিক্ষকদের বেতন ইত্যাদি খরচ কোথা থেকে আসে? তারপর
ছাত্র-ছাত্রীদের একসময় কোন বেতনাদি ছিল না। আর তাদের কথা মতে সকল শিক্ষার্থীরা তো
এতিম,মিসকিন,তথা বেওয়ারিশের মত কুড়ে পাওয়া । তাদের আবার বেতন আসে কোথাথেকে? তাহলে
শিক্ষকদের বেতনাদীসহ অন্যান্য খরচ কোথাথেকে আসে? অবশ্যই
দান-সদকা,যাকাত,ফেতরা,কোরবানীর চামড়া,মুষ্টি চাঁদা ইত্যাদি এসব তাদের আয়ের উৎস।
সেই সাথে পীর মাশায়েখ অগ্রাহ্য করার পর যখন কোরানের ভাষায় ওলী,আওলীয়া, মুর্শিদ, ও
ইমাম শব্দগুলো দেখল,তখন টনখ নড়ল,এগুলো কি?এর ভাব কি? এর দিকনির্দেশনা কি?যখন
বিভিন্ন মুফাচ্ছিরীনে কিরাম এই শব্দ সমুহের শেষ স্তরেনায়েবে নবি প্রমান করলেন,তখন
ধীরেধীরে হক্কানি পিরের নামে আরেকটা ব্যবসার উৎস খুলে নিলেন।প্রকৃত পীরের পথ বা
সংঙা তারা যানে না।
প্রয়াত পীর মাওলানা ফজলুল করিম সাহেব বলেছিলেনঃ আটরশির
পির যদি তাহার আস্তান থেকে বের হতে পারেন,তাহলে আমি আমার মুরিদানসহ মুরিদ হব। তাতে
প্রমান করে তাহাদের ভাষায় পীর হতে হলে বাড়িবাড়ি গিয়ে টাকার বিনিময়ে ওয়াজ বা
তাবলীগকরতে হবে এবং মাদ্রাসা এতিম খানাসহ বিভিন্ন প্রকারের চাঁদা উঠাতে হবে। আর
তারই পীরগিরি।
এই পীর ব্যবসার চান্দার নামে টাকার পাহাড় তৈরি করার পর
ঐটাকা দিয়ে পীরের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে খলিফা হয়ার বা খলিফা করার জন্য আত্ন কলোহ করে
তুলকালাম কান্ড ঘটিয়ে দেওয়ার নাম পীরগিরি।তথকোথীত(তাদের ভাষায়)হক্কানী
ওলামায়েকেরামেরা এর নাম পীরগিরি দিয়েছেন বলে তাদের উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের বাস্তবে
তাই প্রমাণ করে।ইহা তাহাদের বোল এবং বোল পাল্টানোর কর্মকাণ্ডের প্রমানও করে। কেননা
ভাই ভাই খলিফা হওয়ার বা খলিফা করার জন্য আত্নকলহ নেই এ রকম দরবার অর্থাৎ
তাহাদের রীতি মোতাবেক সেলসেলার দরবার খুবই
বিরল।এক মাত্র বিশ্ব জাকের মঞ্জিল পাক দরবার শরিফে এই দ্বন্ধ নেই। কেন থাকবে ?
সেখানে তো বাড়িবাড়ি যাওয়ার আর তাবলীগের নামে,ওয়াজের নামে,চাঁন্দা উঠানোর
প্রথানেই।রিজিকের মালিক আল্লাহ এই ইমানেও তাহাদের কমতি নেই। এখন পীরগিরির নামে
যারা চাঁদা তোলে,দেশে বিদেশে তথা রমজান মাসে এতেকাফের নামে মক্কা শরিফ গিয়ে যাকাত
ফেতরা বা চাঁদা তোলা তাহাদের মত হক্কানির ভাষায় তারাই হক্কানী পীর। প্রকৃত বাস্তবে
ইহারা পীর নয়। বরং পেশাদার পীর। পীর মাওলানা ফজলুল করিম সাহেব সেই পেশার পীর । এই
পেশাদারীত্ব তাহার ছিল না,তা বলার উপায় নেই।যেহেতু ইহা শতসিদ্ব বাস্তবতা।এই যদি হয়
পীরের কর্মকাণ্ড তাহলে প্রকৃত খাটি পীরের সংজ্ঞা তারা যানে না,তা সম্পূর্ণ
ভদ্রোচিত ভাষায় বলা হল। তাহাদের হক্কানীরা
উপারের লেফাফা দরুস্ত। আর এই লেফাফা দরুস্ত না হলে যেমন চাঁদা তোলা যাবেনা তেমনি
অন্য লোকের চোখে ধাঁধা লাগানো যাবে না।
তারা রাসুলে পাক(সাঃ)এর বাহ্যিক সুন্নাতের লেবাসদিয়ে যা
করে প্রক্রিত্র ওলীয়াল্লাহগনের তা অজানা নয়।যারা তাদের মত বাহ্যিক লেফাফা দুরুস্ত
সুন্নাত পালন করেনা। তারা কেহ তাহাদের মত
চাঁদা তোলেনা। অপরের ছিদ্রান্বেষণ করেনা, ফেতনা করেনা, মিথ্যা বলেনা,গিবত
বলেনা,বাৎসরিক ওয়াজের নামে মাদ্রাসা, এতিম খানা, ও লিল্লাহ বোর্ডিংএর নামে চাঁদা
তোলেনা, মিলাদ বেদায়াত বলেনা,দুরুদের নামে দোয়া করে টাকা খায়না,টাকা ইনকামের নামে
দোয়া,তাবিজ,যারফুক দিয়ে টাকা কামায় করে,রমজাননাআসলে ধোনিদের কাছে যাকাত তোলার জন্য
রশিদ বই নিয়ে তোসামদি করেনা। এগুলো যারা করে,তারাকি আসোলেই ইমানদার ? খাজাবাবা
ফরিদপুরি কেবলাজান এর একটিও করেনি।তিনি খাটি পীর নয় যে হক্কানীরা বলেছেন,তার
বর্ণিত কাজ গুলো যারা সর্বদাকরে যাচ্ছে,তাহদেরকে যে হক্কানিরা খাটি পীর বলে
চলছেন,সে হক্কানীরা কারা? লেফাফা দুরুস্ত পীরেরা, কওমি আলেমেরা, এবং শতকারা হারে
চাঁদা তোলে যারা তারা কারা? ইহায় কি ইসলাম। ইসলামকে চাঁদা মার্কাইসলাম বানিয়েছেন
যারা, তারা আবার হক্কানী!হায়রে হক্কানীরা –।তাই
বলেছি তারা কামেল পীরের সংজ্ঞা যানেনা। এমনকি বুঝেও বুঝেনা।কেন না তারা
স্বার্থান্ধ। কামেল পীরের প্রথম কথা,সে প্রথমে সর্বাবস্থায় স্বীকার করবে রিজেকের
মালিক আল্লাহ ।ইজ্জতের মালিক আল্লাহ। হেদায়াতের মালিক আল্লাহ।এই হেদায়াতের পথ
প্রদর্শক রাসুল(সাঃ) আল্লাহ নয়। কিন্তু আল্লাহ থেকে রাসুল (সাঃ) যুদাও নয়। যার
জন্য যে কোন পীর মাশায়েখ,আলেম ওলামা বিনা মতানৈক্যস্বীকার করতে বাধ্য যে, যে কোন
দোয়া কবুল হবেনা,যতখন পর্যন্ত রাসুল(সাঃ) এর শানে দুরুদ পড়া না হবে। অতএব দোয়া
কবুলিয়াতের শর্ত দুরুদ। আর এই দুরুদ হল রাসুলে পাক (সাঃ)এর গুনগান ও তাঁহার জন্য
প্রার্থনা।অতএব রাসুলে পাক (সাঃ)ব্যতীত আল্লাহ পাওয়া যাবে না। এবং তাহার মহব্বতই
প্রকৃত ঈমান।
No comments:
Post a Comment